AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Andre Russel: KKR-র রাসেল, আর রাসেলের কেকেআর? নাইট শিবিরে বড় মাথাব্যথা!

IPL 2025, Kolkata Knight Riders: রাসেল না হয় কেকেআরের হয়ে রয়ে গিয়েছেন, কেকেআর কি রাসেলের হতে পেরেছে? প্রশ্নটা বুঝতে হয়তো একটু সমস্যা হল! সহজ করে বলা যাক। নাইট রাইডার্স তাঁকে প্রতিবার টিমে রাখছেন। রাসেল কি নিজের ভূমিকা পালনে সাফল্য পাচ্ছেন?

Andre Russel: KKR-র রাসেল, আর রাসেলের কেকেআর? নাইট শিবিরে বড় মাথাব্যথা!
Image Credit: PTI FILE
| Updated on: Apr 18, 2025 | 7:32 PM
Share

আন্দ্রে রাসেল শেষ কবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন? গুগলও সহজে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না। অনেক খুঁজতে হবে। নাইট রাইডার্স সমর্থকদের হয়তো মনে থাকতে পারে। কিংবা তাঁদেরও হয়তো গুগল করতে হবে। পরিস্থিতি যাই হোক, কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে বড়রকমের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্দ্রে রাসেলের ফর্ম।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের কিংবদন্তিদের মধ্যে ধরা হয় আন্দ্রে রাসেলকে। সেই ২০১৪ সাল থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলছেন। এরপর থেকে কেকেআরের টিম তৈরি হয় তাঁকে রেখেই। নাইট রাইডার্সের অন্যতম ভরসা। সেটা বল হাতেই হোক বা ব্যাটিংয়ে। কিন্তু রাসেল না হয় কেকেআরের হয়ে রয়ে গিয়েছেন, কেকেআর কি রাসেলের হতে পেরেছে? প্রশ্নটা বুঝতে হয়তো একটু সমস্যা হল! সহজ করে বলা যাক। নাইট রাইডার্স তাঁকে প্রতিবার টিমে রাখছেন। রাসেল কি নিজের ভূমিকা পালনে সাফল্য পাচ্ছেন?

আইপিএলের চলতি মরসুমে ৭ ম্যাচ খেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। লিগের মাঝপথে কেকেআর, এটুকু বুঝতে সমস্যা হয় না। এর মধ্যে আন্দ্রে রাসেল ব্যাটিং করেছেন ৫ ইনিংসে। সব মিলিয়ে তাঁর অবদান ৩৪ রান। সর্বাধিক স্কোর ১৭। যেটা পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে করেছিলেন। ১১২ রানের টার্গেট তাড়া করে হেরেছিল কেকেআর। রাসেল যদি ম্যাচটা জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতেন, হয়তো কিছুদিনের জন্য সমালোচনা বন্ধ থাকত! এ মরসুমে তাঁর ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট আর যাই হোক রাসেল-মাসল এর উদাহরণ নয়। স্ট্রাইকরেট ১১০-এর ও কম! বাউন্ডারি ও ছয় মেরেছেন তিনটি করে। অথচ আইপিএলে তাঁর কেরিয়ার স্ট্রাইকরেট ১৭৩-এর বেশি।

বল হাতে এ মরসুমে বেশ কিছু উইকেট নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। আরও হিসেব কষে বললে ৭টির মধ্যে তিন ম্যাচে বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন। যদিও অতি বড় কেকেআর সমর্থকও মেনে নেবেন, এমন পরিস্থিতিতে সেই উইকেট এসেছে, যেখানে দলের হার-জিত নির্ভর করছিল না। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধেই যেমন ২ উইকেট নিয়েছিলেন। সে সময় ম্যাচ কার্যত পকেটে পুরে নিয়েছে মুম্বই। ইকোনমি ১৩-এর বেশি! ব্যাটিং হোক বা বোলিং, দুটোতেই যে ফ্লপ, বুঝতে সমস্যা হয় না।

গত মরসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল কেকেআরের ওপেনিং জুটি। আর বোলাররা অনবদ্য। এ বারও বোলাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন। অলরাউন্ডার সুনীল নারিনের পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। রাসেলের গত মরসুমের পরিসংখ্য়ানও যদি দেখা যায়, ১৫ ম্যাচে মাত্র ৯ ইনিংস ব্যাটিং পেয়েছিলেন। প্রায় ৩২-এর গড়। করেছেন ২২২ রান। সর্বাধিক স্কোর ছিল ৬৪। আর স্ট্রাইকরেট ১৮৫! সীমিত সুযোগে কতটা বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছিলেন এর থেকেই পরিষ্কার। কিন্তু ২০২৩ মরসুমে তাঁর ব্যাটিং গড় এবং স্ট্রাইকরেট খুবই চিন্তার ছিল।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে এ মরসুমে রাসেল যে বোঝা হয়ে উঠেছেন, বুঝতে অসুবিধা হয় না। তিনি শেষ কবে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স করেছিলেন, তা যেমন মনে পড়ে না, তেমনই কবে তিনি ফের একটা ম্যাচ জেতানো পারফর্ম করবেন, সেটাও কেউ বলতে পারে না। অগত্যা, হয় জায়গা ছাড়ার নয়তো ফর্মে ফেরার অপেক্ষা!