
কলকাতা: প্রতি বছরই আইপিএল জন্ম দেয় একাধিক নতুন প্রতিভার। তাদের কেউ তারকা হয়ে হয়ে ওঠেন, আবার অনেকে হারিয়েও যান। এই মরসুমেও তার বদল ঘটেনি। নতুন প্রতিভা হিসেবে উঠে এসেছেন অনেকেই। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় বৈভব সূর্যবংশী। আইপিএলের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ প্লেয়ার। ১৪ বছরের বৈভব সর্বকনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে শতরান করারও রেকর্ড করেছেন। শুধু তাই নয়, আইপিএলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম শতরানের রেকর্ডও এখন বৈভবের দখলেই। কিন্তু ছেলে যাতে তাঁকে অনুকরণ না করেন, এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন চেন্নাইয়ের তরুণ ক্রিকেটার আয়ুষ মাহত্রের বাবা।
রাজস্থানের তরুণ ব্যাটার বৈভব এখনও অবধি পাঁচটি খেলেছেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি। প্রতিটি বলেই ছয় মারার চেষ্টা। এটাই নাকি বৈভবের স্বাভাবিক খেলা। ৩৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন। কিন্তু সেঞ্চুরির পর ধারাবাহিকতা নেই। তিনি ছাড়াও তরুণদের মধ্যে আলোচনায় চেন্নাই সুপার কিংসের আয়ুষ মাহত্রে। ১৭ বছরের আয়ুষ গত ম্যাচে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। কাল ইডেনে কেকেআরে বিরুদ্ধে নামবেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ৪৮ বলে ৯৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন। ছয় মারতে গিয়ে আউট। সেঞ্চুরি যেমন হাতছাড়া হয়েছে, ম্যাচটিও শেষ অবধি হেরেছে চেন্নাই। তাঁর মতো সেট ব্যাটার ক্রিজে থাকলে পরিস্থিতি অন্য হতেই পারত।
আয়ুষের এই ভুলের পরে তাঁর বাবা যোগেশ মাহত্রে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন। ছেলেকে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন, ‘বৈভব সূর্যবংশীকে অনুকরণ করতে যেও না। তোমার ওরকম কিছু করার দরকার নেই। যদি কেউ তোমাকে বৈভবের সাঙ্গে তুলনা করে, তা হলে সেই কথা একদম নিজের মাথায় রেখো না।’ শুধু তাই নয়, আয়ুষের বাবা সেঞ্চুরি সম্পর্কে বলেছেন, ‘যদি দল জিততে না পারে, তা হলে আমার কাছে সেঞ্চুরির কোনও গুরুত্ব নেই। ম্যাচে পুরো ২০ ওভার খেলার চেষ্টা করবে এবং দলকে জেতাতে সাহায্য করবে।’ অর্থাৎ সেনসেশন তৈরি নয়, বরং দলের কাজে লাগবে, এমন ধারাবাহিকতায় জোর দেওয়ার পরামর্শ আয়ুষের বাবার।