
কলকাতা: গুজরাট টাইটান্সের হয়ে মাত্র তিন ম্যাচের পরই হঠাৎ দেশে ফিরে যান কাগিসো রাবাডা। জানা গিয়েছিল যে কিছু ব্যাক্তিগত কারণে তাঁকে দেশে ফিরে যেতে হয়েছে। কয়েক দিন আগে প্রোটিয়া পেসারই জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ মাদক নেওয়ার দায়ে তাঁর ডোপ পরীক্ষার ফল পজেটিভ এসেছিল। তার জন্য প্রাথমিক নির্বাসনের দায়ে পড়তে হয়েছিল রাবাডাকে। যে কারণে আইপিএল থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল। গুজরাট টাইটান্সের আগামী ম্যাচ থেকে রাবাডাকে পাওয়া যাবে, এমনও বলা হচ্ছে। কিন্তু রাবাডার এই ঘটনা ঘিরে তীব্র আলোড়ন পড়েছে ক্রিকেট মহলে। অস্ট্রেলিয়ার এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্যাপক চটেছেন তাঁর উপর।
সাধারণত ওয়াডা বা আন্তর্জাতিক ডোপ বিরোধী সংস্থা রিক্রেয়েশনাল ড্রাগ মনোরঞ্জকমূলক মাদক নেওয়ার জন্য তিন মাস নির্বাসিত করে। রাবাডার ক্ষেত্রে তা কমিয়ে ১ মাস করা হতে পারে। এর জন্য রাবাডাকে অবশ্য প্রমাণ করতে হবে যে তিনি প্রতিযোগীতা চলাকালীন এই নিষিদ্ধ মাদক ব্যহার করেননি। যদিও তিনি কী মাদক ব্যবহার করেছিলেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এই ডোপ পরীক্ষা দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগ চলাকলীন করা হয়েছিল। আইপিএলের জন্য ভারতে থাকাকালীন ১ এপ্রিল তাঁকে ওইঅ টেস্টের রিপোর্ট জানানো হয়েছিল। ১ মাসের নির্বাসনের কারণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে সাউথ আফ্রিকা। তাতে হয়তো ওয়ার্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পাওয়া যাবে রাবাডাকে।
মাদক সংক্রান্ত অপরাধের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন রাবাডা। তিনি বলেছেন, ‘যাদের আমি হতাশ করেছি, তাঁদের সকলের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ক্রিকেট খেলার সুযোগকে আমি কখনই হালকা নেব না। এই সুযোগ আমার কাছে খুবই বড়।’
এই ডোপ ঘটনায় জড়ানো কাগিসো রাবাডার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক টিম পেইন সোচ্চার হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘এই পার্সোনাল ইস্যু শব্দের ব্যবহার একদমই পছন্দ নয় আমার। কিছু বিষয়কে গোপন করার ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করা হচ্ছে, যা মোটেই গোপন নয়। যদি কোনও পেশাদার খেলোয়াড়কে কোনও টুর্নামেন্টে খেলার সময় বিনোদনমূলক ওষুধের জন্য ডোপ পরীক্ষা দিতে হয়, তবে এটি মোটেই ব্যক্তিগত বিষয়ের মধ্যে পড়ে না। এটা চুক্তিভঙ্গ মতো বিষয়। এটি কোনও ভাবেই ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে না।’