Axar Patel, DC: প্রিয়জন ছাড়া কেউ ডাক নামে ডাকে না! মেহার হাতে প্রেমের অক্ষর…

Indian Premier League: দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্যাপ্টেন, ভারতীয় দলের বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার ঠিক কবে প্রেমে পড়েছিলেন। কে প্রথম কাছে এসেছে সে সব গোপনেই। কিন্তু মেহা প্যাটেল যেন প্রেমের অক্ষর লিখেছিলেন।

Axar Patel, DC: প্রিয়জন ছাড়া কেউ ডাক নামে ডাকে না! মেহার হাতে প্রেমের অক্ষর...
Image Credit source: INSTAGRAM

May 05, 2025 | 2:49 PM

নাইন্টিজ কিড! অক্ষর প্যাটেলও। তবে এখন আর কিড নন। দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্যাপ্টেন। ভারতীয় দলেও ভাইস ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল। সেটাই যেন ইঙ্গিত, ভবিষ্যতের জন্য ভাবা হচ্ছে তাঁকে। অথচ ক্রিকেটার হবেন, এমন তো নিশ্চয়তা ছিল না! বাড়ি থেকে যে শুধু ক্রিকেট খেলার জন্য সমর্থন পেয়েছিলেন তা নয়। তাঁর বাবা রাজেশ প্যাটেল কার্যত জোর দিয়েছিলেন অক্ষরের ক্রিকেটার হওয়ার ক্ষেত্রে। মা চেয়েছিলেন, ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হয়। কিন্তু বাবার ইচ্ছেই পূরণ হয়েছিল। এর জন্য তাঁকেও কম পরিশ্রম করতে হয়নি। পরিশ্রমেই এনেছে ধারাবাহিকতা। সাফল্যের প্রথম ধাপই তাই।

রবীন্দ্র জাডেজার বিকল্প কে? ভারতীয় ক্রিকেটে এই প্রশ্ন একটা সময় অবধি ছিল। জবাব সকলের সামনে। অক্ষর প্যাটেল। ভারতীয় দলে ক্রমশ নিয়মিত হয়ে উঠেছেন। আর জীবনও সঠিক পথে। তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের ব্যর্থতাগুলো যেমন হাসি মুখে মেনে নেন, জীবনের হতাশাগুলোও লুকিয়ে রাখেন হাসির মধ্যেই। জীবনটাকে যত সহজ করে ভাবা যায়। আর অক্ষরের জীবনকে যিনি আগলে রাখেন, তিনিও কম যান না। লাভস্টোরি যেন ঠিক নাইন্টিজ কিডের মতোই।

দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্যাপ্টেন, ভারতীয় দলের বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার ঠিক কবে প্রেমে পড়েছিলেন। কে প্রথম কাছে এসেছে সে সব গোপনেই। কিন্তু মেহা প্যাটেল যেন প্রেমের অক্ষর লিখেছিলেন। মেহা। অক্ষরের স্ত্রী। আর তাঁর হাতে প্রেমের অক্ষর! ভারতীয় দলের বহু ম্যাচেই স্ট্যান্ডে দেখা যেত মেহাকে। পরবর্তীতে দেখা যায়, মেহার হাতে অক্ষরের নামের ট্যাটুও রয়েছে। ওই যে, প্রেমের অক্ষর আগেই লিখেছিলেন।

পেশায় একজন ডায়েটিশিয়ান ও নিউট্রিশনিস্ট। তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার, ডায়েট এবং শরীরচর্চা নিয়ে পোস্ট করতে দেখা যায়। অক্ষরের ক্রিকেট কেরিয়ারেও পরিবর্তন এনেছেন। অক্ষর প্যাটেলের পুরনো ম্যাচের ভিডিয়ো দেখলে বোঝা যাবে তাঁর ফিল্ডিংয়ের খামতিগুলো। সেই অক্ষরই পরবর্তীতে একের পর এক চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নিয়েছেন। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে নজর কেড়েছেন। এখনও প্রতি ম্যাচেই ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি বাড়তি ভূমিকা দেখা যায় ফিল্ডিংয়ে। এর কারণ নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত ফিটনেস। এর নেপথ্যে অনেকটাই অবদান রয়েছে মেহার।

অক্ষর ও মেহার লাভস্টোরি আলোচনায় খুব একটা না থাকলেও, সেটা যে দীর্ঘ ছিল অনুমান করাই যায়। রাতারাতি কোনও সম্পর্ক তৈরি হয় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের মিষ্টি ছবিগুলিও সেই কথাই বলে। ২০২৩-এর ২৬ জানুয়ারী মেহার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অক্ষর। মনের মিল তো অনেক আগেই হয়ে গিয়েছিল। অক্ষরের জীবনে অপেক্ষা শুধু পরিশ্রমের ফলগুলো যেন মেলে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট হোক আর দেশের জার্সিতে, আরও আরও সাফল্য…।