
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক বা ফ্র্যাঞ্চাইজি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ব্যাটারদের ক্যাপ্টেন করতে। কিন্তু এর মাঝেও ব্যতিক্রম থাকে। কখনও শুধুমাত্র স্পেশালিস্ট বোলার আবার কখনও বোলিং অলরাউন্ডারদেরও ক্যাপ্টেন্সি দেওয়া হয়। ভারতীয় ক্রিকেটে এর সেরা উদাহরণ কিংবদন্তি কপিল দেব। ব্যাটিং-বোলিং কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। ১৯৮৩ সালে তাঁর নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। আর সেটাই ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন জোয়ার এনেছিল।
আসা যাক আইপিএল প্রসঙ্গে। প্যাট কামিন্সের মতো স্পেশালিস্ট বোলার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন্সি করেন। তেমনই আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ক্যাপ্টেন তিনি। গত বারের আইপিএলে তাঁর নেতৃত্বে রানার্স হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এবার অবশ্য টুর্নামেন্ট ভালো যায়নি। তাদের আগ্রাসী ক্রিকেট কার্যকরী হয়নি। প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন। ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স কিন্তু অনবদ্য পারফর্ম করেছেন।
পাওয়ার প্লে- ক্যাপ্টেন বিষয়টা কী? এমন কোনও টার্ম হয়তো নেই। তবে দিতেই বা সমস্যা কোথায়। যে ক্যাপ্টেনরা আইপিএলের পাওয়ার প্লে-তে দাপট দেখিয়েছেন, আজ আলোচনায় তাঁরাই। বোলারদের কাছে পাওয়ার প্লে সবচেয়ে কঠিন। মাত্র ২ জন ফিল্ডার সার্কেলের বাইরে থাকে। এই সময়টাতে মাপা বোলিং সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। দাপট দেখান ব্যাটাররাই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বাজিমাত করেন বোলাররাও। এর মধ্যে প্রথমেই আসে প্যাট কামিন্সের নাম। এবারের আইপিএলে পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারের মধ্যে প্যাট কামিন্সের সেরা পারফরম্যান্স দিল্লির বিরুদ্ধে। বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া গত ম্যাচটিতে পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন কামিন্স।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আর এক বোলিং-অলরাউন্ডার ক্যাপ্টেনের কথা ভুললে চলবে না। অক্ষর প্যাটেল। দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্যাপ্টেন। শুরুর দিকে ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব যেন তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছিল। ঘুরে দাঁড়িয়েছেন অক্ষর। বেশ কিছু ম্যাচেই বোলারদের জন্য সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি অর্থাৎ পাওয়ার প্লে-তে বোলিং করেছেন। এর মধ্যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন।
তালিকায় রয়েছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর জাহির খানও। দুটো ম্যাচে পাওয়ার প্লে দুর্দান্ত কেটেছিল. দিল্লির ক্যাপ্টেন হিসেবে। পাওয়ার প্লে-তে তাঁর সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ২০১৭ সালের আইপিএলে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন জাহির খান। সেবারই রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন পেসার শন পোলকেরও একই পরিসংখ্যান রয়েছে। উদ্বোধনী আইপিএলে মুম্বইয়ের ক্যাপ্টেন হিসেবে নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন প্রোটিয়া পেসার।