IPL 2025 Strategy: প্ল্যান… স্ট্র্যাটেজি… এক্সিকিউশন, ওয়াইড-ই নয়া ছক আইপিএলে!

Indian Premier League: কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ১১ বলের ওভার করেছেন শার্দূল ঠাকুর। প্রাথমিক ভাবে মনে হতেই পারে, ইচ্ছাকৃত কেউ ওয়াইড বল কেন করবে! একদম ঠিক। যদি অন্য দৃষ্টিকোন থেকে ভাবা যায়?

IPL 2025 Strategy: প্ল্যান... স্ট্র্যাটেজি... এক্সিকিউশন, ওয়াইড-ই নয়া ছক আইপিএলে!
Image Credit source: BCCI

Apr 10, 2025 | 5:13 PM

প্ল্যান… স্ট্র্যাটেজি… এক্সিকিউশন। খেলার দুনিয়ায় এই শব্দগুলো নতুন নয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও তাই। ম্যাচ জিতলে অনেক সময়ই ক্যাপ্টেনদের মুখে শোনা যায়- যে প্ল্য়ান করে নেমেছিলেন, তা মাঠে নেমে কাজে লাগাতে পেরেছি। হারলে? ঠিক উল্টোটা। প্ল্য়ান রেডি ছিল, মাঠে নেমে তার এক্সিকিউশন ঠিকঠাক হয়নি। প্রতিনিয়তই যে নতুন নতুন ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়, এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বছরভর ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক কিংবা আইপিএল। প্রত্যেকটা টিম যেমন প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে জানে, তেমনই প্লেয়ারদের সম্পর্কেও। তা হলে বাজিমাত হবে কী ভাবে? অ্যানালাইসিস। নতুন স্ট্র্যাটেজি। সব ম্যাচই নতুন ধরে এগিয়ে যাওয়া। সবসময় প্ল্যান সফল হবেই, নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু প্ল্যান করার প্ল্য়ান ক্যানসেল করলে পিছিয়ে পড়তেই হবে। ওয়াইড বল কি তা হলে নতুন প্ল্য়ান?

হর্ষল প্যাটেল ভারতীয় ক্রিকেটে পরিচিত নাম। জসপ্রীত বুমরা অতি পরিচিত। তালিকায় ভুবনেশ্বর কুমারকেও রাখুন। হঠাৎ এই প্রসঙ্গ তা নয়। প্রত্যেকেটার ক্ষেত্রেই ‘প্ল্য়ান’ রয়েছে। আইপিএলের এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে যুগ্মভাবে রয়েছেন হর্ষল প্যাটেলও। ২০২১-এর আইপিএলে ৩২ উইকেট নিয়েছিলেন সে সময় আরসিবিতে খেলা হর্ষল। তাঁর ক্ষেত্রে একটা বিষয় লক্ষণীয় ছিল। স্লোয়ারে বাজিমাত করতেন। স্লগ ওভারে স্লোয়ার ফুলটস এবং বাউন্সার। সঙ্গে দেখা যেত ওয়াইড ইয়র্কার।

বুমরার ইয়র্কার কতটা নিখুঁত বলার অপেক্ষা রাখে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটা ওভার বাউন্ডারি যতটা দামী, ডট বল তার চেয়েও দামী। বুমরা স্লগ ওভারে গতির হেরফেরও করেন। কোনও ইয়র্কার দুরন্ত গতিতে, আবার কখনও স্লো ইয়র্কার। আর তাতেই বাজিমাত করেন। ভুবনেশ্বর কুমারের নাকল ডেলিভারিতে কত ব্যাটার নাকাল হয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। এবার ওয়াইড বল!

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ১১ বলের ওভার করেছেন শার্দূল ঠাকুর। প্রাথমিক ভাবে মনে হতেই পারে, ইচ্ছাকৃত কেউ ওয়াইড বল কেন করবে! একদম ঠিক। যদি অন্য দৃষ্টিকোন থেকে ভাবা যায়? টি-টোয়েন্টি দ্রুতগতির ক্রিকেট। একটা টিম যদি ছন্দে থাকে, নানা ভাবেই তাদের মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা হয়। এমন অনেক ঘটনাই চোখে পড়ে, হয়তো সেটা খুবই সাধারণ মনে হয়। সেটাও তো টিমের স্ট্র্যাটেজি হতে পারে!

আইপিএলে তো স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউট আলাদা করেই থাকে। সেই আড়াই মিনিটের বাইরেও স্ট্র্য়াটেজি করা যায়। হতেই পারে শার্দূলের পরপর ওয়াইড বলেই মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে। পরবর্তী ম্যাচে আরও ভালো করে দেখলে হয়তো সেটাও বোঝা যাবে! কে জানে, হয়তো প্রতিপক্ষ টিমগুলি ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে অ্যানালাইসিস শুরু করে দিয়েছে!