
অপেক্ষা ছিল গত কয়েক ম্যাচ থেকেই। লখনউ সুপার জায়ান্টস যেমন ঝুঁকি নেয়নি, তেমনই সুযোগও হচ্ছিল না। ব্যাটিংয়ে লখনউয়ের মিডল অর্ডারের যা হাল, সে কারণে আয়ুষ বাদোনিকে ইমপ্যাক্টে নামাতে হয়েছে। অবশেষে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাবর্তন হল রাজধানী এক্সপ্রেস মায়াঙ্ক যাদবের। আর কামব্যাকের ম্যাচ ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। শুরুটা হতাশার হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।
মরসুমের শুরু থেকেই একাধিক পেসারের চোটে সমস্যায় পড়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। মহসিন খান, আবেশ খান, আকাশ দীপ এবং মায়াঙ্ক যাদব। চার পেসারের চোট ছিল। এর মধ্যে মহসিন খান পুরোপুরি ছিটকে যান। পরিবর্তে নেওয়া হয়েছিল নিলামে অবিক্রিত থাকা শার্দূল ঠাকুরকে। কয়েক ম্যাচ আগেই ফিট সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন মায়াঙ্ক যাদব। অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করলে সমস্যা হতে পারত। ঝুঁকি নেয়নি লখনউ সুপার জায়ান্টস।
গত বারের আইপিএলে হাতে গোনা ম্যাচের পরই ছিটকে গিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। মাঝে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও অভিষেক হয়। ফের ছিটকে যান। প্রত্যাবর্তন হল রাজধানী এক্সপ্রেস মায়াঙ্কের। কামব্যাকের প্রথম ওভারে রোহিত শর্মা পরপর ছয় মেরে স্বাগত জানান তাঁকে। চোট থেকে ফেরায় গতি কমেছে। প্রায় ১৪৩ কিমি/ঘণ্টা অবধি পৌঁছলেন। গত বছর ১৫০ কিমি/ঘণ্টা অহরহ তুলেছেন। এ বার গতির হেরফের করে বোলিংয়ে বৈচিত্র এনেছেন। কামব্যাকের প্রথম ওভারে রোহিত পরপর ছয় মারলেও স্লোয়ারে তাঁর উইকেটও নিলেন মায়াঙ্কই।
স্পেলের প্রথম তিন ওভার ভালো কাটেনি সেই অর্থে। প্রচুর রান খরচ করেছেন। স্পেলের শেষ ওভারে একঝাঁক ওয়াইডও দিলেন। উইল জ্যাকসের উইকেটও নিলেন। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ২ উইকেট মায়াঙ্ক যাদবের। জাহির খানের মতো মেন্টর পাওয়ায় তাঁর বোলিংয়ে যে অনেকটাই বৈচিত্র এসেছে, এ দিন তা পরিষ্কার।