ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের রিটেনশন সহ নানা নিয়ম ঘোষণা করে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গভর্নিং কাউন্সিলের তরফে এই নিয়ম সম্পর্কে জানানোর পর বোর্ডের সভাতেও সিলমোহর পড়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সও নিঃসন্দেহে পরিকল্পনা শুরু করেছে। কেকেআর কোচিং টিমে অবশ্য পরিবর্তন হয়েছে। গত মরসুমে মেন্টর ছিলেন গৌতম গম্ভীর। তিনি এখন জাতীয় দলের কোচ। কেকেআরে গম্ভীরের জায়গায় যোগ দিয়েছেন ডোয়েন ব্র্যাভো। সঙ্গে কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত তো রয়েইছেন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কেকেআর। স্বাভাবিক ভাবেই রিটেনশন তালিকা বাছাই করতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টকে। কী হতে পারে পরিকল্পনা?
আইপিএল রিটেনশন নিয়ম অনুযায়ী, ৬ জন প্লেয়ার রাখা যাবে। সেটা রিটেনশন হতে পারে কিংবা অকশনে রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করে। সমস্যা হল পার্স নিয়েও। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য ১২০ কোটির পার্স। এর মধ্যেই টিম সাজাতে হবে। কোনও টিম যদি ৫ জন প্লেয়ার রিটেন করে, ৭৫ কোটি টাকা এই পাঁচ জনের জন্যই চলে যাবে। ধরে নেওয়া যাক, কলকাতা নাইট রাইডার্স ৬ জনকে রিটেনশন করছে। সেক্ষেত্রে কারা হতে পারেন!
প্রথম তিন প্লেয়ারের জন্য খরচ হবে যথাক্রমে ১৮ কোটি, ১৪ কোটি এবং ১১ কোটি। বাকি দু-জনের জন্য ১৮ এবং ১৪ কোটি। মিচেল স্টার্ককে গত বারের মিনি অকশনে প্রায় কোটিতে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ বার যদি তাঁকে প্রথম প্লেয়ার হিসেবে রিটেন করা হয়, সেক্ষেত্রে ১৮ কোটিতেই হতে পারে। ধরা যাক, দ্বিতীয় প্লেয়ার হিসেবে আন্দ্রে রাসেলকে নিল কেকেআর। তাঁকে ১৪ কোটিতে নেওয়া যাবে। রিঙ্কু সিংকে ১১ কোটির স্ল্যাবে নিতে পারে কেকেআর। এ বার দ্বিতীয় সেটে আসা যাক। ১৮ কোটির স্ল্যাবে ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার এবং ১৪ কোটিতে সুনীল নারিন! তবে গত বার ফিল সল্ট যা পারফর্ম করেছেন, তাতে শ্রেয়সের পরিবর্তে তাঁকেও রিটেন করা হতে পারে। আরটিএম কার্ড ব্যবহার করা হতে পারে হর্ষিত রানার জন্য।
কলকাতা নাইট রাইডার্স শুরুতেই ৭৫ কোটির পার্স খরচ করবে বলে মনে হয় না। যদি তিনজনকে রিটেন করা হয়, সেক্ষেত্রে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন এবং রিঙ্কু সিংকে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকবে। মিচেল স্টার্ককে নিলে অবশ্য সব অঙ্ক পাল্টে যাবে। রিঙ্কু সিংকেও তখন ওয়েটিং লিস্টেই থাকতে হবে।