শ্রেয়স আইয়ার
বিরাট কোহলি (Virat Kohli), রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)-র পরের প্রজন্মে ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটার ধরা হয় শ্রেয়স আইয়ারকে (Shreyas Iyer)। তিন ফর্ম্যাটেই ভারতীয় টিমের নিয়মিত মুখ। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দুরন্ত সেঞ্চুরিও করেছেন। অন্যান্য ক্রিকেটারদের মতো ছেলেবেলা থেকে শ্রেয়স ক্রিকেট খেলা শুরু করেননি। ১৮ বছর বয়সে তিনি চোখে পড়ে যান প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ও কোচ প্রবীণ আমরের। তারপর আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি। আমরের কোচিংয়েই দ্রুত উন্নতি করেন শ্রেয়স। ২০১৪ সালে মুম্বইয়ের হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলার সুযোগ পান। ওই টুর্নামেন্টে নেমেই নিজেকে চেনান শ্রেয়স। ৫৪.৬০ গড়ে করেছিলেন মোট ২৭৩ রান। ওই বছরই রঞ্জিতে অভিষেক হয় শ্রেয়সের। পঞ্চাশের উপর গড়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৮০৯ রান করেন। দুটো সেঞ্চুরি ও ৬টা হাফসেঞ্চুরি করেন। লাল বল হোক আর সাদা বল, শ্রেয়স যে সব ফর্ম্য়াটের জন্যই উপযুক্ত, তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন।
২০১৫ সালে আইপিএলে পা রাখেন শ্রেয়স। ২.৬ কোটিতে তাঁকে কিনেছিল দিল্লি। সে বছর তিনিই ছিলেন সবচেয়ে দামি আনক্যাপড প্লেয়ার। সে বার আইপিএলে ৪৩৯ রান করায় টুর্নামেন্টের ইমার্জিং প্লেয়ারও বিবেচিত হন। ২০১৮ সালে সেই তাঁকেই ক্যাপ্টেন করে দিল্লি। শ্রেয়সই ছিলেন আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক। ধারাবাহিক ভাবে রান করার পাশাপাশি নেতৃত্বেও যথেষ্ট ছাপ রেখেছিলেন শ্রেয়স। ২০২০ সালে আইপিএলের ফাইনালেও তুলেছিলেন টিমকে। কিন্তু মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হেরে যায় টিম। এরপর থেকেই শ্রেয়স বারবার চোটের কবলে পড়েছেন। বলা হয়, চোটের কারণেই প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ২০২১ সালের আইপিএল পুরোটা খেলতে পারেননি। পরের বছর কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) তাঁকে কেনে। কিন্তু ২০২৩ সালে চোটের জন্য কেকেআরের হয়ে খেলতে পারেননি। ২০১৭ সালে দেশের হয়ে ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়। ২০২১ সালে খেলেন প্রথম টেস্ট, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি করেছিলেন।