
বোলিংয়ের সময় মাথা থাকে আকাশের দিকে। বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ, এখনও নিখুঁত নয়। উচ্চতাও বেশি নয়। দক্ষ লেগ স্পিনার হয়ে উঠতে আরও অনেক পরিশ্রমই করতে হবে সূয়াশ শর্মাকে। গত দুই মরসুম ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। এবার তাঁকে রিটেনও করেনি, অকশনেও তাঁর জন্য ঝাঁপায়নি কেকেআর। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তারকা লেগস্পিনারদের এড়িয়ে তাঁকেই দলে নেয়। নিয়মিত সুযোগও পেয়েছেন। উইকেটের নিরিখে তাঁকে সফল বলা যায় না। কিন্তু কোয়ালিফায়ারের মঞ্চে সেই সূয়াশ শর্মাই স্বপ্নের স্পেল করলেন। চুল কাটিয়েই এমন সাফল্য!
দিল্লির ক্রিকেটার সূয়াশ। সুযোগ পেয়েছেন সামান্য। তাঁর মূল পরিচয় আইপিএল থেকেই। কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকেই উত্থান। ছোট্ট চেহারার সূয়াশের মাথা ভর্তি চুল। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে এই নিয়েই মজার প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন ধারাভাষ্যকার। কোয়ালিফায়ারের মঞ্চে ছন্দে থাকা পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে তিন ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তিন উইকেট। ১১টি ডট বল। তাঁর কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন পারফরম্যান্সের জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ঠ নয়।
ইনিংস ব্রেকে তাঁর সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন হর্ষ ভোগলে। বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। এর মাঝেই রবি শাস্ত্রী তাঁকে বলেন, চুল কাটানোর পরই কি তোমার গুগলিগুলো ধরতে পারছে না প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা? রবি শাস্ত্রীর প্রশ্ন শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন সূয়াশ। জানান, প্রচুর পরিশ্রম করেছেন গুগলি আরও নিখুঁত করার জন্য। কোচ যা বলেছেন, সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই বোলিং করেছেন।
ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতে আরসিবি ওপেনার ফিল সল্ট দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। তেমনই বোলিংয়ে যশ দয়াল ও জশ হ্যাজলউডও অনবদ্য পারফর্ম করেছেন। তবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া স্পেলের জন্য সেরার পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন সূয়াশ শর্মাই। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণেও হর্ষ ভোগলে তাঁকে বোলিং নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। এরপরই মোক্ষম একটা প্রশ্ন। এই জয়ের সেলিব্রেশন কেমন হবে? প্রত্যয়ী সূয়াশের পরিষ্কার জবাব, স্যার সেলিব্রেশন ৩ জুনের পর করব।
প্রথম দল হিসেবে আইপিএল ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আরসিবি। দীর্ঘ ৯ বছর পর। সব মিলিয়ে চতুর্থবার ফাইনালে। ট্রফি কিন্তু একবারও আসেনি। তাই যতক্ষণ না হাতে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি আসছে, সেলিব্রেশন না হয় তোলাই থাক!