ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে মেয়াদ ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অবধি। প্লেয়ার হিসেবে বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। স্বাভাবিক ভাবেই একটা বড় আক্ষেপ ছিল। অবশেষে সেই আক্ষেপ মিটেছে কোচ হিসেবে। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ যুব দলের কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন দ্রাবিড়। তবে সিনিয়র বিশ্বকাপের স্বাদ সব কিছুর উপরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে সেই আক্ষেপ মিটেছে। রাহুল দ্রাবিড়কে এমন উচ্ছ্বাসে মাততে দেখা যায়নি। বিশ্বকাপ জয়ের পর মজা করে দ্রাবিড় মন্তব্য করেছিলেন, তিনি এখন বেকার, চাকরি থাকলে খোঁজ দিতে। তেমনই অলিম্পিকের সময় প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে আগামী অলিম্পিকে ক্রিকেট নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের পাশাপাশি বলেছিলেন, ‘অলিম্পিকে খেলতে পারলে ভালো হত, সেটা তো পারব না। তবে আমি যে ভাবেই হোক থাকব। প্রয়োজন সংবাদমাধ্যমে চাকরি নেব।’ রাহুল দ্রাবিড় যে বিশ্বকাপের পরই আইপিএল কোচিংয়ে মনস্থির করেছিলেন, বলাই যায়। এর জন্য ব্ল্যাঙ্কচেকও ফিরিয়ে দিয়েছেন!
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বেশ কিছু টিমের প্রস্তাব ছিল রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে। যদিও পুরনো দল রাজস্থান রয়্যালসেই হেড কোচ হিসেবে ফিরেছেন বিশ্বজয়ী কোচ। ভারতীয় সিনিয়র দলের কোচ হওয়ার আগে যুব দলের দায়িত্বে ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্বেও ছিলেন। দ্রাবিড় কখনও সিনিয়র দলের কোচ হতে রাজি ছিলেন না। তার কারণ, পরিবারকে সময় দিতে চেয়েছিলেন। যুব দলের কোচ হিসেবে খুব বেশি বাইরে যেতে হত না। তেমনই জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি বেঙ্গালুরুতেই। ফলে পরিবারকে সময় দিতে পারছিলেন। আইপিএলে কোচিং করালে খুব বেশি হলে তিন মাসের ব্যাপার। সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। তবে যে কোনও দলে যেতে রাজি ছিলেন না। ২০১১ সালের সেই ঘটনাও কি এর অন্যতম কারণ?
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে উদ্বোধনী মরসুম থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ভালো পারফর্মও করছিলেন। যদিও তাঁর উপর ভরসা দেখাতে পারেনি আরসিবি। মেন্টর অনিল কুম্বলেও কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অকশনে তাঁকে নেয়নি। রাহুল দ্রাবিড়ের মতো প্লেয়ারের কাছে আত্মসম্মানের ব্যাপার ছিল। যখন মনে হচ্ছিল, দ্রাবিড়কে হয়তো অবিক্রীতই থেকে যেতে হবে, সে সময়ই রাজস্থান রয়্যালস তাঁর জন্য ঝাঁপায়। সেই থেকে রাজস্থান রয়্যালসের প্রতি লয়্যাল রাহুল দ্রাবিড়। এই টিমকে ক্যাপ্টেন্সি করেছেন, মেন্টরশিপও। ক্রিকবাজের খবর অনুযায়ী, বেশ কিছু আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে ব্ল্যাঙ্কচেক অফার করলেও দ্রাবিড় রাজস্থান রয়্যালসে যোগ দেওয়ারই মনস্থির করে রেখেছিলেন।