
মুহূর্তে বদলে গেল পৃথিবী। একটা ম্যাচ, দুর্দান্ত ইনিংস। সব কেমন স্বপ্নের মতো লাগছিল বৈভব সূর্যবংশীর। কিন্তু ক্রিকেট তো এমনই নিষ্ঠুর। একদিন নায়কের আসনে বসাবে, তো পরদিনই মাটিতে টেনে নামাবে। সাফল্য এবং ব্যর্থতা দুই পরিস্থিতির সঙ্গে যে লড়াই করতে পারবে, তারাই টিকে থাকবে বড় মঞ্চে। রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনার বৈভব সূর্যবংশীর ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। জয়পুরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পটলাইট ছিল বৈভবের দিকেই। কিন্তু সেঞ্চুরির পর সিলভার ডাক। হতাশায় দীর্ঘ সময় ক্রিজেই দাঁড়িয়ে রইলেন এই তরুণ ব্যাটার।
আইপিএলের ১৮তম সংস্করণের মেগা অকশন থেকেই আলোচনায় বৈভব সূর্যবংশী। সে সময় তাঁর বয়স মাত্র ১৩। অকশন টেবিলে তাঁকে নিতে ঝড় ওঠে। শেষ অবধি ১.১ কোটিতে তাঁকে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। নেওয়া হলেও খেলানো হবে কি না এই নিয়ে সন্দেহ ছিল। নিয়মিত ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসনের চোটের কারণে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়। প্রথম বলেই ছয় মেরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এই মঞ্চের জন্য তৈরি। আর গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাঁর ইনিংস সকলের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন বৈভব। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে এই রেকর্ড ছিল ইউসুফ পাঠানের। তিনি ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
সেঞ্চুরির সাফল্য থেকে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বৈভব কেমন ব্যাটিং করেন সেদিকেই ছিল নজর। ম্যাচের আগে নানা প্রসঙ্গ উঠেছে। আগের দিন ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সিরাজ, রশিদ খান, প্রসিধ কৃষ্ণাদের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটিং করা বৈভব কী ভাবে জসপ্রীত বুমরাকে সামলান, সেটা ছিল মূল আকর্ষণ। এত অবধি সময়ই এল না। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাঁকে ফেরালেন দীপক চাহার। দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই খাতা খোলার আগেই আউট। ইয়র্কারের চেষ্টায় লো ফুলটস এসেছিল। মিড অনের উপর দিয়ে মারার চেষ্টায় উইল জ্যাকসের হাতে ক্যাচ। সেঞ্চুরির পর সিলভার ডাক (২ বলে ০) বৈভব সূর্যবংশী। হতাশায় বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে দাঁড়িয়ে রইলেন। সাফল্য উপভোগ করেছেন, ব্যর্থতাকে কীভাবে সামলান নজর সেদিকেই।