
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ মরসুমে সাড়া ফেলে দিয়েছেন বৈভব সূর্যবংশী। আইপিএলের মেগা অকশন থেকেই তাঁকে নিয়ে চর্চা শুরু। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের হঠাৎ উত্থান। মাত্র ১৩ বছরেই আইপিএল অকশনে বৈভব। তাঁকে নিয়ে অকশন টেবিলে ঝড়ও ওঠে। শেষ অবধি ১.১ কোটিতে বৈভবকে নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। টিমে নিলেও তাঁকে খেলানো হবেই, এর সম্ভাবনা ছিল সামান্যই। টিমের সঙ্গে প্রস্তুতি সারেন। জোফ্রা আর্চারের মতো দ্রুতগতির পেসারের বিরুদ্ধে প্র্যাক্টিস করেন। অবশেষে আইপিএলে তাঁর অভিষেকও হয়।
বৈভবকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয় গুজরাট টাইটান্স ম্যাচ থেকে। ছন্দে থাকা একটা দল। উল্টোদিকে একঝাঁক সুপারস্টার বোলার। মরসুমের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। টাইটান্সের বিরুদ্ধে রান তাড়ায় ৩৫ বলে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেন। আইপিএলে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ইউসুফ পাঠানের দখলে। ইউসুফ ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। মাত্র ১৪ বছরে সেঞ্চুরি। কনিষ্ঠতম হিসেবেও রেকর্ড গড়েন বৈভব। কিন্তু তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন নানা কারণেই উঠে আসছে। এ বার সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম বিদ্রুপের শিকার বৈভব।
রাজস্থান রয়্যালসের এই তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হচ্ছে, ও কোনও ক্রিকেটারই নয়। ভুয়ো ক্রিকেটার বলে অভিহিত করা হয়। এর কারণ কী? গত কাল পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে মাত্র ১৫ বলে ৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন বৈভব। স্ট্রাইক রেট প্রায় ২৬৭! এরপরও কেন বিদ্রুপ? সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্তি, একটিও সিঙ্গল নেননি বৈভব। অর্থাৎ, তাঁর শট খেলাকে ফ্লুক হিসেবেই দেখছেন অনেকে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৪টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারেন। এই ১৫ বলে ৪০ রানটা এসেছে বাউন্ডারিতেই। সে কারণেই ভুয়ো ক্রিকেটারের তকমা দেওয়া হচ্ছে।