LSG vs RCB IPL Match Result : লো-স্কোরিং, হাইভোল্টেজ ম্যাচ; গৌতমের মুখ ‘গম্ভীর’ করলেন বিরাটরা
Lucknow Super Giants vs Royal Challengers Bangalore Report : লখনউ ইনিংসে কমেডি অব এরর দেখা যায়। লক্ষ্য কম হলেও প্রত্যেকেই নেমে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় উইকেট দিয়ে আসেন। মাত্র ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারায় লখনউ। ৭৭ রানে ৮ উইকেট। এর মধ্যে দুটো রান আউট। চোট নিয়েই ডাগ আউটে প্রস্তুত হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় রাহুলকে। ডট বলে চাপ বাড়তে থাকে ক্রমশ। শেষ চার ওভারে লখনউয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪ বলে ৪৮ রান।
দীপঙ্কর ঘোষাল : ম্যাচের প্রতিটা বলেই যেন নাটক। উত্তেজনার পারদ চড়ল মুহূর্তে। সুপার সানডে না হলেও, আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখা গেল আইপিএলে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর গৌতম গম্ভীর। আরসিবির তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্ক’ অজানা নয়। গৌতম গম্ভীর কেকেআরের অধিনায়ক থাকাকালীন বিরাটের সঙ্গে মাঠেই দু-জনের ঝামেলা আইপিএলের অন্যতম মনে রাখার মতো বিষয়। প্রথম লেগের ম্যাচে চিন্নাস্বামীতে শেষ বলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। হাই-স্কোরিং ম্যাচ জিতে বিরাটকে ‘চুপ’ করার অঙ্গভঙ্গী করেছিলেন গৌতম গম্ভীর। এই ম্যাচে বিরাট পাল্টা দিলেন। বোর্ডে মাত্র ১২৬ রানের পুঁজি। মরিয়া লড়াই করল আরসিবি। শেষ অবধি ১৮ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়। লখনউ অলআউট ১০৮ রানে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla Sports-এ।
গত কয়েক ম্যাচে আরসিবিকে নেতৃত্ব দেন বিরাট কোহলি। ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার হিসেবে শুধুমাত্র ব্যাটিং করছিলেন ফাফ ডুপ্লেসি। নেতৃত্বে ফিরলেন ফাফ। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। আরসিবির মিডল ও লোয়ার অর্ডার সমস্যা মিটল না। বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডুপ্লেসি ওপেনিং জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন। প্রথম ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে ৭ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছতে বিরাটের প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান। রবি বিষ্ণোইয়ের বলে ৩১ রানে স্টাম্প আউট হয়ে ফেরেন বিরাট। ডুপ্লেসি একদিক আগলে রাখলেও নিয়মিত ব্য়বধানে উইকেট হারাতে থাকে আরসিবি। বৃষ্টির জন্য প্রায় আধঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। দীনেশ কার্তিক ছয় মেরে শুরু করলেও ১১ বলে ১৬ রানে ফেরেন। ডুপ্লেসি, বিরাট, কার্তিক ছাড়া বাকি সকলেই ফিরলেন এক অঙ্কের রানে। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৬ রান করে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর।
লখনউ শিবিরে বড় ধাক্কা লাগে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই। বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর চোট পান লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। তখনই ডাগ আউটের দিকে ইঙ্গিত করেন, তাঁর পক্ষে মাঠে থাকা সম্ভব নয়। স্ট্রেচারও ডাকা হয়। থাই মাসলে চোট। রাহুল স্ট্রেচার না নিলেও সাপোর্ট স্টাফের কাঁধে হাত দিয়ে কোনওরকমে হেঁটে মাঠ ছাড়েন। আরসিবির দেওয়া ১২৭ রানের লক্ষ্য খুবই ছোট মনে হয়েছিল। কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন আয়ুষ বাদোনি। দ্বিতীয় বলেই কাইল মেয়ার্সকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমান মহম্মদ সিরাজ। লখনউ ইনিংসে কমেডি অব এরর দেখা যায়। লক্ষ্য কম হলেও প্রত্যেকেই নেমে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় উইকেট দিয়ে আসেন। মাত্র ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারায় লখনউ। ৭৭ রানে ৮ উইকেট। এর মধ্যে দুটো রান আউট। চোট নিয়েই ডাগ আউটে প্রস্তুত হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় রাহুলকে। ডট বলে চাপ বাড়তে থাকে ক্রমশ। শেষ চার ওভারে লখনউয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪ বলে ৪৮ রান। শেষ উইকেটে খোঁড়াতে খোঁড়াতে নামেন রাহুল। তখন লখনউয়ের চাই ৮ বলে ২৪ রান। লোকেশ রাহুল ঠিকঠাক দাঁড়াতেই পারছিলেন না। অযথা ঝুঁকি নিয়ে নামেন। যদিও ৩ বলে ০ রানে অপরাজিত।