
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৮তম সংস্করণ চলছে। তবে রাজস্থান রয়্যালসের মরসুম শেষ হয়ে গেল অনেক আগেই। প্লে-অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। দিল্লিতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচটায় রাজস্থানের কাছে ছিল মর্যাদার। বলা যায়, দু-দলের কাছেই এই ম্যাচ ছিল ভবিষ্যতের জন্য ভাবনা। তরুণ ক্রিকেটাররা কেমন পারফর্ম করেন। সেই লক্ষ্যে দু-দলই সফল বলা যায়। চেন্নাই সুপার কিংস হারলেও তাদের তরুণরা ভালো পারফর্ম করেছেন। অন্যদিকে, জয় দিয়ে মরসুম শেষ করতে পারল রাজস্থান রয়্যালসও।
আইপিএলের প্রত্যাবর্তনের পর ভেনু সীমিত করা হয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংস হোম ম্যাচ খেলল দিল্লিতে। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালস ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন। পেসার যুধবীর সিং দুর্দান্ত বোলিং করেন। ডেভন কনওয়ে, উর্ভিল প্যাটেলকে ফিরিয়ে চাপ তৈরি করেন। তবে আগ্রাসী ব্যাটিং চালু রাখেন তরুণ ওপেনার আয়ুষ মাহত্রে। মাত্র ২০ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। ম্যাচে হঠাৎই চারে নামানো হয় অশ্বিনকে। ৮ বলে ১৩ রানে ইতি। শেষ দিকে ঝড় তোলেন প্রোটিয়া তরুণ বেবি এবি। ডিওয়াল্ড ব্রেভিস মাত্র ২৫ বলে ৪২ রান করেন। শেষ অবধি ৮ উইকেটে ১৮৭ রান তোলে চেন্নাই। তবে ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর এই স্কোর প্রশংসনীয়।
রান তাড়ায় বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করেন বৈভব সূর্যবংশী। আগের ম্যাচে শুধুমাত্র চার-ছয় মারায় নজর দিয়েছিলেন। এ দিন শুরুতে সতর্ক ব্যাটিং করেন। ধীরে ধীরে যে পরিণত মানসিকতা তৈরি হচ্ছে, এই খেলার স্টাইলেই যেন পরিষ্কার। কেরিয়ারে আরও একটা হাফসেঞ্চুরি এল তাঁর ব্যাটে। অশ্বিনের শিকার হন বৈভব। ৩৩ বলে ৫৭ রানের পরিণত ইনিংস খেলেন। ৪টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিও মেরেছেন। যশস্বী ১৯ বলে ৩৬ করেন। ক্যাপ্টেন সঞ্জু ৩১ বলে ৪১ এবং মিডল অর্ডারে ধ্রুব জুরেল মাত্র ১২ বলে ৩১ রান করেন। ১৭ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় রাজস্থানের।