
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে স্মরণীয় একটা ম্যাচ। সেটা নানা দিক থেকেই। জয়পুরের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস ও গুজরাট টাইটান্স। একদিকে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার পরিস্থিতিতে থাকা রাজস্থান। অন্য়দিকে, দুরন্ত ছন্দে থাকা টাইটান্স। এক তরফা ম্যাচের অনুমান করছিলেন সকলেই। কিন্তু ক্রিকেট যে কত বড় অনিশ্চয়তার খেলা সেটা আরও একবার দেখা গেল গোলাপি শহরে। দুই তরুণের বিধ্বংসী ব্যাটিং। জয়পুরে দ্বিতীয় সর্বাধিক স্কোর তাড়া করে জিতল রাজস্থান রয়্যালস।
নিয়মিত ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসনের চোট। আগের তিন ম্যাচে জয়ের কাছ থেকে হার। গুজরাট টাইটান্সের কাছে হারা মানে সরকারি ভাবে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া। রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারানোর কিছু ছিল না। বরং তারা এখন অন্য যে কোনও দলের কাছে কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। গুজরাটের কাছে বাধা না হলেও তাদের আত্মবিশ্বাসে বড় রকমের ধাক্কা দিয়েছে।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালসের স্টপগ্যাপ ক্যাপ্টেন রিয়ান পরাগ। শুভমন গিল এবং সাই সুদর্শনের বিধ্বংসী ব্যাটিং। এরপর জস বাটলার। বোর্ডে ২০৯ রানের বিশাল স্কোর। গুজরাট টাইটান্সের বোলিং আক্রমণের নিরিখে যথেষ্ট বড় স্কোর। কিন্তু এরপরই তাণ্ডব। বৈভব সূর্যবংশী এবং যশস্বী জয়সওয়াল চোখে সর্ষেফুল দেখালেন টাইটান্স বোলারদের। বৈভবের সেঞ্চুরি। ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ১৬৬ রান। বৈভব (১০১), নীতীশ রানা (৪) ফিরলেও ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন যশস্বী ও রিয়ান পরাগ। যশস্বী ৪০ বলে ৭০ রান করেন। রিয়ান ১৫ বলে ৩২। মাত্র ১৫.৫ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যপূরণ।
প্লে-অফের দৌড়ে রাজস্থান রয়্যালসের ভরসা এখন যেন বিরাট কোহলির সেই বাণী। যদি এক পারসেন্টও চান্স থাকে, সেটাই অনেক! রাজস্থানের কিন্তু সেই চান্সটা এখনও রয়েছে।