ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। নিজেদের রেকর্ডই ভাঙার পথে ছিল তারা। অল্পের জন্য হয়নি। তবে ‘দ্বিতীয়’ রেকর্ডও তাদের ঝুলিতে। গত বারের রানার্স সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অন্য দিকে, আইপিএলের উদ্বোধনী সংস্করণের চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান রয়্যালস। দু-দলই ১৮তম আইপিএলে অভিযান শুরু করল। বিশাল জয়েই মরসুম শুরু সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। আর তাদের জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন ঈশান কিষাণ। আইপিএলে কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ঈশানের ব্যাটে। নতুন দলে, নতুন শুরু ঈশানের।
ঘরের মাঠে ইংল্য়ান্ড সিরিজে হাতে চোট পেয়েছিলেন সঞ্জু স্য়ামসন। তিনি শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন। প্রথম তিন ম্যাচে রাজস্থানের নেতৃত্বে রিয়ান পরাগ। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। যতই ব্যাটিং পিচ হোক, সানরাইজার্সকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দেওয়া! রিয়ান পরাগের সেই ভুল বুঝতে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। তার উপর রাজস্থান রয়্যালসের গ্রাউন্ড ফিল্ডিংও হতাশাজনক হয়েছে।
ট্রাভিস হেডের প্রাথমিক ঝড়। মাত্র ৩১ বলে ৬৭ রান করেন। সঙ্গে ঈশান কিষাণের অপরাজিত সেঞ্চুরি (১০৬)। মিডল অর্ডারে নীতীশ কুমার রেড্ডি (১৫ বলে ৩০) ও হেনরিখ ক্লাসেনের (১৪ বলে ৩৪) ক্যামিও ইনিংস। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ৩০০-র সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। শেষ অবধি তা হয়নি। ৬ উইকেটে ২৮৬ করে সানরাইজার্স। আইপিএলে যা দ্বিতীয় সর্বাধিক স্কোর।
রান তাড়ায় ৫০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে রাজস্থান রয়্যালস। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা সঞ্জু স্যামসনের ৩৭ বলে ৬৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। শেষ দিকে ধ্রুব জুরেলের ৩৫ বলে ৭০, শিমরন হেটমায়ার ২৩ বলে ৪২ এবং শুভম দুবে ১১ বলে ৩৪। যদিও টার্গেট পূরণ হয়নি। ৪৪ রানে জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। আইপিএল কামব্যাকে ১ উইকেট সামির।
আইপিএলের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।