
কলকাতা: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে শুরুটা খুব খারাপ হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। জসপ্রীত বুমরা ছন্দে ফিরতেই বোলিং আক্রমণ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। রবিবার ওয়াংখেড়েতে লখনউয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামে মুম্বই। চেনা ছন্দে ফিরতে দেখা যাচ্ছে বুমরাকে। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। এই ম্যাচ দেখতে ও বুমরাকে সাপোর্ট করতে পুত্র অঙ্গদকে নিয়ে মাঠে আসেন তাঁর স্ত্রী সঞ্জনা গণেশন। ছেলে অঙ্গদকে নিয়ে যা হয়েছে তাতে ভীষণ বিরক্ত সঞ্জনা। ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরির মাধ্যমে ট্রোলার ও নেটিজেনদের ধুয়ে দিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় দলই শুধু নয়, অন্য়ান্য ক্রিকেটারের স্ত্রী ও প্রেমিকাও মাঠে আসেন দলকে সমর্থন করতে। সেটা জাতীয় দলের ম্যাচ হোক বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। আর হোম ম্যাচে আরও বেশি দেখা যায়। জসপ্রীত বুমরাকে সাপোর্ট করতে উপস্থিত হয়েছিলেন সঞ্জনাও। তিনি নিজেও একজন সঞ্চালক। তাই ক্রিকেট মাঠের সঙ্গে সম্পর্ক শুধুই বুমরার স্ত্রী হিসেবে নয়। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্য নানা মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তেমনই অঙ্গদের বেশ কিছু মুহূর্তও ক্যামেরায় যেমন ধরা পড়ে, গ্যালারিতে থাকা অন্য়ান্য ক্রিকেট প্রেমীদেরও। পরে সেগুলো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলও করা হয়।
বুমরার স্ত্রী ছাড়াও, নিজস্ব একটা পরিচয় রয়েছে সঞ্জনার। তিনি একজন স্পোর্টস ব্রডকাস্টারও। অনেক সময় বুমরার সাক্ষাৎকার নিতেও দেখা যায় সঞ্জনাকে। তাঁদের দেড় বছরের সন্তানের অভিব্যক্তি নিয়ে বিদ্রুপে সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশকে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কড়া জবাব দিয়েছেন সঞ্জনা। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের সন্তান কারও বিনোদনের বিষয় নয়। জসপ্রীত এবং আমি অঙ্গদকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করি। ক্যামেরা ভর্তি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্তানকে নিয়ে আসার মানে আমি বুঝি। দয়া করে আপনারাও বুঝুন যে, অঙ্গদ আর আমি জসপ্রীতকে সমর্থন করার জন্যই ছিলাম, অন্য কিছুর জন্য নয়।’
সঞ্জনা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ‘ডিপ্রশন’এর মতো শব্দ ব্যবহার করা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘একটা দেড় বছরের শিশু সম্পর্কে ট্রমা, ডিপ্রেশনের মতো শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এটা আমাদের সমাজের মানসিকতা কী হয়ে উঠছে সেই সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেয়। যা খুবই দুঃখজনক। আপনারা আমাদের জীবন বা আমাদের ছেলের সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আমার অনুরোধ ওইটুকু সততা এবং মানবিকতা রেখে কথা বলুন।’