
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ‘ফ্যান্সি’ শট খেলা প্লেয়ারদের কদর বেশি, বলার অপেক্ষা রাখে না। দর্শকরা সেটাই বেশি উপভোগ করেন। তবে এমন অনেক ক্রিকেটারই রয়েছেন যাঁরা প্রপার ক্রিকেটীয় শট খেলেও মুগ্ধ করেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অজিঙ্ক রাহানে তেমনই একজন। ভুললে চলবে না আরও একজনের নাম। যিনি এ মরসুমে ভারতীয় ক্রিকেটে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের ফর্ম জারি রইল আইপিএলের মঞ্চেও। ১০৭৭ দিন পর আইপিএলে নেমেই ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি করুণ নায়ারের।
আইপিএলের আগেই ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুম শেষ হয়েছে। রঞ্জি, বিজয় হাজারে কিংবা সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফিই হোক। একের পর এক চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছিলেন করুণ নায়ার। একটা সময় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত ছিলেন। কিন্তু সময় ঠিক যায়নি। ২০২২-এর পর থেকে আইপিএলে রয়ে গিয়েছিলেন ব্রাত্যই। ২০২২ সালে শেষ বার রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন করুণ নায়ার।
নতুন মরসুমে করুণ নায়ারকে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম চার ম্যাচে সুযোগ হয়নি। আদৌ তিনি সুযোগ পাবেন কি না ধোঁয়াশা ছিল। ‘আসল’ হোমগ্রাউন্ডে প্রথম ম্যাচ খেলছে দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে রান তাড়ায় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে তিনে নামানো হয় করুণ নায়ারকে। কার্যত ওপেনার হিসেবেই নামতে হয়। ইনিংসের প্রথম বলেই জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুকের উইকেট হারায় দিল্লি। আর নেমেই চোখ ধাঁধানো শটে মুগ্ধ করেন করুণ নায়ার। মাত্র ২২ বলে ছুঁয়ে ফেলেন হাফসেঞ্চুরি।
আইপিএলের মঞ্চে ১০৭৭ দিন পর নামার সুযোগ। হাফসেঞ্চুরিতে থামেননি করুণ নায়ার। ইনিংস আরও এগিয়ে নিয়ে যান। জসপ্রীত বুমরার মতো বিশ্বের সেরা পেসারের বিরুদ্ধে যে ভাবে খেলছিলেন করুণ, কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। শেষ অবধি ৪০ বলে ৮৯ রানে ফিরলেন। অল্পের জন্য সেঞ্চুরির রূপকথা হল না। একডজন বাউন্ডারি এবং ৫টি ছয় মারেন।