Virat Kohli: ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে ফিট প্লেয়ার কে, জানেন?
BCCI : ২০১৮ সালে বিরাটের পিঠের চোট হয়েছিল। যে কারণে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে পারেননি বিরাট। তারপর থেকে কিন্তু বিরাটকে ফিটনেস জনিত সমস্যায় ভুগতে হয়নি।
নয়াদিল্লি : এশিয়ার ক্রিকেটাররাও ফিটনেসের দিক দিয়ে ভারতের তারকা ব্যাটসম্যানকে অনুসরণ করেন। তিনি বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। একটা সময় বিরাটও ফিটনেস (Fitness) নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত ছিলেন না। কিন্তু গত কয়েক বছরে ফিটনেসের দিক থেকে নিজেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। বিদেশি ক্রিকেটাররাও বিরাট কোহলির ফিটনেস সম্পর্কে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। এশিয়া কাপে সূর্য কুমার যাদব ও বিরাট কোহলির রানিং বিটউইন দ্য উইকেট শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল। বিশ্ব ক্রিকেটের কথা না হয় বাদই থাকল। ভারতীয় ক্রিকেটারদের (Team India) মধ্যে ফিটনেসের দিক থেকে অনেক অনেক এগিয়ে বিরাট কোহলি। ভারতীয় দলের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার বিরাট।
বোর্ডের একটি রিপোর্টে এমন তথ্যই সামনে এসেছে। ২০২১-২০২২ মরসুমে বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা অন্তত ২৩ জন ক্রিকেটার এনসিএ-তে বিভিন্ন কারণে রিহ্যাবের জন্য গিয়েছেন। সেই তালিকায় নেই বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক হেমাঙ আমিন একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করেছেন। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির এই রিপোর্টে ক্রিকেটারদের চোটের সংখ্যা চমকে দেওয়ার মতোই। তথ্য অনুযায়ী-৭০ জন ক্রিকেটার অন্তত ৯৬ ধরনের গুরুতর চোট নিয়ে এনসিএ-তে গিয়েছেন এই সময়ের মধ্যে। এই ৭০ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ২৩ জন সিনিয়র দলের ক্রিকেটার। ভারত এ দল এবং জাতীয় দলের দৌড়ে থাকা ২৫ জন এবং একজন অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটার রয়েছেন। এ ছাড়া মহিলা ক্রিকেটাররাও রয়েছেন এই তালিকায়।
বোর্ডের চুক্তিতে থাকা ২৩ জন ক্রিকেটার যারা এনসিএ-তে রিহ্যাবের জন্য গিয়েছেন, এর মধ্যে রয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (হ্যামস্ট্রিং), সহ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল (পোস্ট হার্নিয়া সার্জারি), চেতেশ্বর পূজারা, শিখর ধাওয়ান, হার্দিক পান্ডিয়া, উমেশ যাদব, রবীন্দ্র জাডেজা, ঋষভ পন্থ, ইশান্ত শর্মা, শ্রেয়স আইয়ার, সূর্যকুমার যাদব, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, যুজবেন্দ্র চাহাল, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার, অজিঙ্ক রাহানে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল এবং ঋদ্ধিমান সাহা। সূত্রের খবর, গত এক বছরে বিরাট কোহলিকে চোট কিংবা ফিটনেস সম্পর্কিত কারণে এনসিএ-তে যেতে হয়নি। বোর্ডের সূত্রে খবর, ‘সত্যি বলতে বেশিরভাগ চোটই ম্যাচের মধ্যেই হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্যজনক চোটও রয়েছে। অনেকের নানারকম চোটের সমস্য়া রয়েছে। তবে বিরাট কোহলি যেভাবে নিজেকে মেইনটেন করে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ও সারা বছর যেভাবে ফিটনেস নিয়ে কাজ করে, ও কখনও হ্য়ামস্ট্রিং কিংবা পেশীর চোট জনিত কারণ দেখা যায়নি।’
রিপোর্টে আরও মজার বিষয়, যাদের বেশি রিহ্যাবের প্রয়োজন পড়েছে, তাদের বেশিরভাগই বিরাট কোহলির চেয়ে ১০ বছরের ছোট। এই তালিকায় রয়েছেন শুভমন গিল, পৃথ্বী শ, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রীকার ভারত, কমলেশ নাগরকোটি, সঞ্জু স্যামসন, ঈশান কিষাণ, কার্তিক ত্যাগি, নবদীপ সাইনি এবং রাহুল চাহার। ২০১৮ সালে বিরাটের পিঠের চোট হয়েছিল। যে কারণে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে পারেননি বিরাট। তারপর থেকে কিন্তু বিরাটকে ফিটনেস জনিত সমস্যায় ভুগতে হয়নি।