ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নতুন মরসুম শুরু হতে চলেছে। কিন্তু পুরনো কথা কী করেই বা ভুলবেন। আইপিএলের মেগা অকশনের আগেই ঠিক ছিল, অনেক দলেই বড় রকমের ভাঙন ধরবে। রিটেনশন নিয়মটাই এমন ছিল। আরটিএম এবং রিটেনশন মিলিয়ে ৬ জন প্লেয়ারকে রাখা যেত। রাজস্থান রয়্যালস ছ’জনকেই রিটেন করেছিল। এর মধ্যে সঞ্জু স্যামসন, রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেল, যশস্বী জয়সওয়ালের মতো প্লেয়াররা ছিলেন। হতাশার হলেও বিধ্বংসী ওপেনার জস বাটলারকে রিটেন করতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও যেন হাত কামড়াচ্ছেন রয়্যালস ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন। কী বলছেন?
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, কোনও প্লেয়ারকে রিটেন করা না গেলেও মেগা অকশনে তাঁকে পুরনো টিমই নিয়েছে। বাটলারের ক্ষেত্রে অবশ্য এমনটা হয়নি। আসন্ন আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সে খেলতে দেখা যাবে জস বাটলারকে। রাজস্থান রয়্যালস তাঁর কাছে অতীত। সঞ্জু স্যামসনরা এখন প্রতিপক্ষ। রিটেনশন তালিকা জমা দেওয়ার পরই কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানিয়েছিলেন, সম্ভব হলে পুরো টিমটাকেই ধরে রাখতেন। রিটেনশন লিস্ট তৈরিতে ক্যাপ্টেন সঞ্জুও যে সমস্যায় পড়েছিলেন, সেটাও জানিয়েছিল দ্রাবিড়।
বাটলারকে নিয়ে সঞ্জুর আক্ষেপ যে যায়নি সেটা স্বীকার করে নিলেন। জিওহটস্টারে রাজস্থান অধিনায়ক বলেন, ‘আইপিএল যেমন ভালো একটা টিমের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনই ভালো বন্ধুত্বেরও। জস বাটলার আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। সাত বছর একসঙ্গে খেলেছি। ব্যাটিংয়ে যেমন পার্টনারশিপ গড়েছি, পারস্পরিক সম্পর্কও গভীর হয়েছে। আমার কাছে ও দাদার মতো। যখনই কোনও বিষয়ে সন্দেহ থাকত, ওকে জিজ্ঞেস করতাম। ২০২১ সালে যখন ক্যাপ্টেন হলাম, ও ছিল ভাইস ক্যাপ্টেন। আমার ক্যাপ্টেন্সির উন্নতিতে সাহায্য করেছে।’
রাজস্থান রয়্যালস যে ৬ প্লেয়ারকে রিটেন করেছিল তাঁরা হলেন-সঞ্জু স্যামসন, যশস্বী জয়সওয়াল, রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেল, শিমরন হেটমায়ার ও সন্দীপ শর্মা। রাজস্থান ক্যাপ্টেন আরও যোগ করেন, ‘ওকে (জস বাটলার) ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা ছিল সবচেয়ে কঠিন। সদ্য ইংল্যান্ড সিরিজের সময় ডিনারে ওকে বলছিলাম, আমি সেই আক্ষেপ থেকে বেরোতে পারিনি। আমার হাতে থাকলে প্রতি তিন বছর প্লেয়ার রিলিজ করার নিয়মটাই হয়তো বন্ধ করে দিতাম।’