ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২০২২ সালের সংস্করণে অভিষেক হয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের। তাদের এক নম্বর প্লেয়ার ছিলেন লোকেশ রাহুল। তাঁর নেতৃত্বে প্রথম দু-মরসুমেই প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। গত মরসুমে হতাশাজনক পারফরম্যান্স। তার উপর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে লজ্জাজনক হারের পরই দলের কর্ণধারের সঙ্গে ব্যাপক দূরত্ব তৈরি হয় লোকেশ রাহুলের। অঙ্কটা তখন থেকেই পরিষ্কার ছিল। যদিও নৈশভোজে রাহুলকে ডেকে ড্যামেজ কন্ট্রোল করেছিলেন এলএসজি কর্ণধার। কলকাতায় এসে তাঁর সঙ্গে মিটিংও করেছিলেন লোকেশ রাহুল। সম্ভবত তখনই ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ হয়ে গিয়েছিল। রিটেনশন তালিকায় সেটাই তা নিশ্চিত হয়ে গেল।
মোটজন পাঁচজন প্লেয়ারকে রিটেন করেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। এর মধ্যে হায়েস্ট পেড ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান। আরও একটা বিষয় এখানেই পরিষ্কার, নিকোলাস পুরানকেই নেতৃত্ব দেওয়া হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বিধ্বংসী কিপার-ব্যাটারকে ২১ কোটি টাকায় রিটেন করেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। রিটেনশন এবং আরটিএম মিলিয়ে ৬ জনকে রাখা যাবে। প্রতিটি দলই তাই চাইছিল যত সম্ভব কম রিটেন করা যায়। বরং আরটিএম ব্যবহার এবং পার্সে বেশি টাকা নিয়ে মেগা অকশনে। তবে লখনই পার্সে অনেকটা টাকা রেখেই পাঁচ জনকে রিটেন করল।
নিকোলাস পুরানের পাশাপাশি রবি বিষ্ণোই (১১ কোটি), মায়াঙ্ক যাদব (১১ কোটি) এবং আনক্যাপড প্লেয়ার ক্যাটেগরিতে প্রত্যাশিত ভাবেই বাঁ হাতি পেসার মহসিন খান (৪ কোটি) ও আয়ুষ বাদোনিকে (৪) রিটেন করল লখনউ। নিলামে একজন ক্যাপড প্লেয়ারকে আরটিএম কার্ড ব্যবহার করে নিতে পারবে লখনউ। সেই টার্গেটে কে থাকবেন, বলা কঠিন।