Mohammed Siraj: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হারিয়ে যাওয়ার পথে! এই আইপিএলে মিঞাঁ-রাজ ফিরবে?
Gujarat Titans-Royal Challengers Bengaluru: গত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে যেন নতুন দেওয়াল লিখন...। সিরাজ নিজেও সেটা পড়তে পারছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় শেষ দিকে চেষ্টা বাড়িয়ে দেন। সাফল্যও কিছুটা মিলেছিল। তবে সিরাজের মতো সিনিয়র পেসারের থেকে যা প্রত্যাশা, পূরণ হয়নি।

বছর দুয়েক আগের কথাও ভাবুন! জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সামির সঙ্গে ভারতীয় পেস আক্রমণের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। বুমরা এবং সামিকে একসঙ্গে বিশ্রাম দেওয়া হলে কিংবা চোটের কারণে পাওয়া না গেলে ভারতের পেস বোলিংয়ের নেতৃত্ব দিতেন। সবই ঠিক চলছিল। কিন্তু গত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে যেন নতুন দেওয়াল লিখন…। সিরাজ নিজেও সেটা পড়তে পারছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় শেষ দিকে চেষ্টা বাড়িয়ে দেন। সাফল্যও কিছুটা মিলেছিল। তবে সিরাজের মতো সিনিয়র পেসারের থেকে যা প্রত্যাশা, পূরণ হয়নি।
লাল-বলেই শুধু নয়। সাদা বলেও আস্থা হারিয়েছেন। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি, ওয়ান ডে সিরিজে জায়গা হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাথমিক স্কোয়াডেও রাখা হয়নি। ভারতের ওডিআই ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা এই নিয়ে প্রশ্নের সামনেও পড়েছিলেন। সিরাজকে না রাখার কারণ হিসেবে রোহিত জানিয়েছিলেন, পুরনো বলে আর কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছেন না! জসপ্রীত বুমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেও টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনাতেই আসেননি সিরাজ। নেওয়া হয়েছিল তরুণ হর্ষিত রানাকে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও যেন একই পরিস্থিতি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে বিদেশি পেসারে বদল হয়েছে। নিয়মিত থেকে গিয়েছিল একটা নাম। মহম্মদ সিরাজ। উইকেট নিলে তিনি যত না সেলিব্রেশন করেছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে বিরাট কোহলির মধ্যে। চেন্নাই সুপার কিংসে যেমন মহেন্দ্র সিং ধোনি, আরসিবি-তে তেমনই বিরাট কোহলি। টিম ম্যানেজমেন্ট কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিরাটের পরামর্শ নেওয়া হয়। এমনকি এই মরসুমে রজত পাতিদারকে ক্যাপ্টেন করার ক্ষেত্রেও গ্রিন সিগন্যাল নিতে হয়েছিল বিরাট কোহলির থেকে।
আইপিএলের রিটেনশন তালিকা তৈরি কিংবা মেগা অকশনেও কি এমন কিছু পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল বিরাটের থেকে? পরামর্শ না নেওয়াটাই অবাক করার মতো বিষয়। সিরাজের উপর বিরাট আর যে ভরসা দেখাতে পারেননি, অকশনের রেজাল্টই তার প্রমাণ। যশ দয়ালকে রিটেন করা হলেও জায়গা হয়নি সিরাজের। এমনকি মেগা অকশনেও তাঁকে ফেরাতে তৎপর দেখায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে।
আইপিএলের ১৮তম সংস্করণে ১৮ নম্বর জার্সির বিরাট কোহলির সঙ্গে সেলিব্রেশনে দেখা যাবে না। কিং কোহলির টিম থেকে এ বার তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স শুভমন গিলের টিমে। গুজরাট টাইটান্সে কাগিসো রাবাডা, প্রসিধ কৃষ্ণর মতো পেসারও রয়েছেন। নিয়মিত সুযোগ পাবেন তো সিরাজ? চিত্রটা আজই পরিষ্কার হতে পারে।
ক্রিকেটের বাইরে মহম্মদ সিরাজের আরও একটা পরিচয় রয়েছে। তেলঙ্গানা সরকার তাঁকে ডিএসপি পোস্টে নিয়োগ করে সম্মান জানিয়েছিল। পুলিশ সিরাজ নন, পেসার সিরাজ এখন প্রবল চাপে। নতুন শুরুতে গুজরাট টাইটান্সের প্রতিপক্ষ আজ পঞ্জাব কিংস। উল্টোদিকের ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। প্রত্যাবর্তনটা যেন তাঁর কাছ থেকেও শিখতে পারেন সিরাজ! আইপিএলে ‘মিঞাঁ-রাজ’ দেখা গেলে দ্রুতই হয়তো সাদা বলেও জরুরি হয়ে উঠবেন…।





