IPL 2021: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকো, ঋতুরাজকে পরামর্শ ধোনির

আইপিএলের গত মরসুম থেকেই ঋতুরাজ নজর কেড়ে নিয়েছেন। ধোনির তাঁর টিমের প্রতি সদস্যের প্রতি একই রকম যত্নশীল। রবীন্দ্র জাডেজা থেকে দীপক চাহার, সুরেশ রায়না থেকে অম্বাতি রায়াডু--- প্রত্যেকেই পাশে দাঁড়ান।

IPL 2021: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকো, ঋতুরাজকে পরামর্শ ধোনির
IPL 2021: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকো, ঋতুরাজকে পরামর্শ ধোনির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2021 | 3:25 PM

দুবাই: আইপিএলের (IPL) তরুণ তুর্কিদের তালিকায় এ বার সবচেয়ে উজ্জ্বল মুখ চেন্নাইয়ের ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৬০ বলে দুরন্ত সেঞ্চুরি যেমন রয়েছে, করেছেন ৩টে হাফসেঞ্চুরিও। ৫২৮ রান করে ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষেও তিনি। ঋতুরাজ এমন দুরন্ত ফর্মে কেন? মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) মূল্যবান টিপসের জন্য।

ব্যাটিং টিপসের পাশাপাশি চাপ কী ভাবে সামলাতে হবে, রান রেট বাড়ানো পদ্ধতিও যেমন শেখান, তেমনই মাহির পরামর্শ হল, ভালো কিছু যদি করতে হয়, তা হলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। যা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন ঋতুরাজ।

টিমের তরুণ ক্রিকেটারের প্রতি ধোনির এই ভূমিকা নিয়ে ঋতুরাজের কোচ সন্দীপ চৌহান বলেছেন, ‘ধোনি বরাবর ঋতুরাজকে বলে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকো। যদি সেটা করতে পারো, তা হলে কিন্তু নিজেকে আরও বেশি মেলে ধরতে পারবে। সাফল্য আর ব্যর্থতা খেলার অঙ্গ। যে দিন পারবে, সে দিন যেমন, যে দিন পারবে না, সে দিনও নিজের পাশে থেকো। লোকে কী বলল, সেটা মাথায় রেখো না।’

আইপিএলের গত মরসুম থেকেই ঋতুরাজ নজর কেড়ে নিয়েছেন। ধোনির তাঁর টিমের প্রতি সদস্যের প্রতি একই রকম যত্নশীল। রবীন্দ্র জাডেজা থেকে দীপক চাহার, সুরেশ রায়না থেকে অম্বাতি রায়াডু— প্রত্যেকেই পাশে দাঁড়ান। তিনি জানেন, সবাই অল্প অল্প করে সাফল্য পেলে টিম ম্যাচ জিতবে। একই সঙ্গে ঋতুরাজদের মতো তরুণদেরও তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছেন সিএসকের ক্যাপ্টেন।

সন্দীপ বলেছেন, ‘খোলা মনে খেলার আত্মবিশ্বাসটা ঋতুর মধ্যে ধোনিই ঢুকিয়ে দিয়েছে। ধোনির পাশাপাশি রায়না, রায়াডুও ওকে প্রচুর সাহায্য করে। আজ ও যে জায়গায় পৌঁছেছে, যে ভাবে খেলছে, তার পুরো কৃতিত্বটাই ধোনি আর সিএসকে টিমের। ঋতু আমাকে বলেছে, যদি পারফর্ম করতে পারে ও, টিমের সবাই এসে পিঠ চাপড়ে দেবে। যদি পারফর্ম করতে না পারে, তা হলেও একই ভাবে উৎসাহ দেবে। খারাপ দিনটার ছাপ কোনও ভাবেই ওর মনে ফেলতে দেয় না।’

সন্দীপের হাতে পড়েই ঋতুরাজ সাফল্যের আকাশ চিনতে শুরু করেছিলেন। যখন ১৩ বছর বয়স, তখন থেকেই অনূর্ধ্ব ১৯ টিমে খেলেন। বয়সের তুলনায় বরাবরই পরিণত ছিল তাঁর ক্রিকেট। ভেঙ্গসরকর ক্রিকেট অ্যাকেডেমি থেকে উঠে আসা তাঁর। তাঁর ১১ বছর বয়স যখন, বাবা দশরথ গায়কোয়াড় ছেলেকে নিয়ে যান ওই অ্যাকাডেমিতে। সেখানেই কোচ সন্দীপ চৌহানের সঙ্গে কথা হয় তাঁর।

সন্দীপ বলেছেন, ‘প্রথম দিন ওকে দেখেই মনে হয়েছিল, এ ছেলেকে ঘষামাজা করলে অনেক দূর যাবে। ওর যখন ১৩ বছর বয়স ঠিক করি, অনূর্ধ্ব ১৯ টিমে খেলাব ওকে। প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ও একটা হাফসেঞ্চুরি করে দেয়। সে দিন আমার মনে হয়েছিল, ঋতুরাজের মতো প্রতিভা চিনতে আমার ভুল হয়নি।’

ঋতুরাজের ঠান্ডা স্বভাবের মধ্যেও আগুন দেখতে পান কোচ সন্দীপ। বলেছেন, ‘ম্যাথু হেডেন একবার বলেছিল, যদি আগ্রাসন খুঁজতে হয়, রাহুল দ্রাবিড়ের চোখের দিকে তাকিয়ে। আমার তো একই কথা ঋতুরাজকে দেখে মনে হয়। ও চুপচাপ থাকবে, কিন্তু ব্যাট দিয়ে যাবতীয় জবাব দেবে।’