
দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধানে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ১৯৮৩-এর পর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন। আর বিশ্বজয়ে ভারতীয় দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। ফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনির ইনিংস নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়। ক্যাপ্টেন্স নক খেলেছিলেন ধোনি। তেমনই পুরো টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করেছিলেন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। বিশ্বকাপে সেরার পুরস্কারও জিতে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই যুবরাজ সিং নাকি বিশ্বকাপের ভাবনাতেই ছিলেন না? দলে সুযোগই পাওয়ার কথা ছিল না যুবির। সেই কথাই খোলসা করলেন ভারতের বিশ্বজয়ী দলের কোচ গ্যারি কার্স্টেন।
ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ৩৬২ রান করেছিলেন যুবরাজ সিং। ১৫টি উইকেটও নিয়েছিলেন। বেশ কিছু ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স। তবে বিশ্বকাপের আগের বছর ফর্ম ভালো যাচ্ছিল না তাঁর। ততদিনে শরীরে বাসা বেঁধেছিল ক্যানসারও। যুবরাজ সিং প্রাথমিক উপসর্গগুলো নিয়েই খেলে গিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচকরা বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখতে চাননি যুবরাজ সিংকে। ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং কোচ গ্যারি কার্স্টেনের জোরাজুরিতেই রাখা হয়।
ভারতের বিশ্বজয়ী দলের কোচ গ্য়ারি কার্স্টেন একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, যুবিকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল। এটা কোনও সাধারণ ব্যাপার ছিল না। প্রায় ১৫ জন প্লেয়ারকে নিয়ে আলোচনা চলছিল। ধোনির মতো আমিও যুবিকে পেতে মরিয়া ছিলাম। ওর অভিজ্ঞতা প্রয়োজন ছিল। আর ফলাফল সকলেই দেখেছে।’
যুবরাজ সিংকে তাঁর কতটা পছন্দ, সে কথাও তুলে ধরেন গ্যারি কার্স্টেন। বলেন, ‘সম্পর্কটা এতই গভীর ছিল, ভীষণ জ্বালাত। মাথা খারাপ করে দিত। খুবই ভালো মানুষ। ওর ব্যাটিং দেখাটা চোখের আরাম। ওকে অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।’ ফর্ম খারাপ থাকার সময় ভারতীয় দলের মেন্টাল অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ প্যাডি আপটন খুব ভালো ভাবে যুবিকে সামলেছে, সে কথাও তুলে ধরেন গ্যারি।