AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Irani Cup: নতুন শতকে প্রথম বার ইরানি কাপ চ্যাম্পিয়ন মুম্বই

Domestic Cricket: সংশয় ছিল সরফরাজকে নিয়েও। সে কারণেই অধিনায়ক করা হয় অভিজ্ঞ অজিঙ্ক রাহানেকে। কানপুর টেস্টের একাদশেও জায়গা না হওয়ায় ম্যাচের চতুর্থ দিন স্কোয়াড থেকে রিলিজ করা হয় মুম্বই টিমের সরফরাজ এবং অবশিষ্ট ভারত একাদশে থাকা ধ্রুব জুরেল, যশ দয়ালদের।

Irani Cup: নতুন শতকে প্রথম বার ইরানি কাপ চ্যাম্পিয়ন মুম্বই
Image Credit: JIO CINEMA SCREENGRAB
| Updated on: Oct 05, 2024 | 3:09 PM
Share

ঘরোয়া ক্রিকেটে দেশের সবচেয়ে সফল দল মুম্বই। বিশেষ করে বলতে হয় লাল-বলের ক্রিকেটের কথা। রঞ্জি ট্রফিতে সফলতম দল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নও। এ বার ইরানি কাপও জিতল মুম্বই। গত বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মুম্বই মুখোমুখি হয়েছিল অবশিষ্ট ভারত একাদশের। পাঁচ দিনের ম্যাচ। ফয়সালা যদিও হল না। ম্যাচ অমীমাংসিত। প্রথম ইনিংসে লিডের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন মুম্বই। নতুন শতকে বা বলা ভালো সহস্রাব্ধে প্রথম বার ইরানি কাপ চ্যাম্পিয়ন। জাতীয় দলে ব্রাত্য অজিঙ্ক রাহানের ক্যাপ্টেন্সিতে। শেষ বার ১৯৯৭-৯৮ মরসুমে এই ট্রফি জিতেছিল মুম্বই। সব মিলিয়ে ১৬তম ট্রফি (এর মধ্যে একবার যুগ্মবিজয়ী) ইরানি কাপে।

ইরানি কাপের আগে হঠাৎই ব্যাকফুটে ছিল মুম্বই। দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তথা দলীপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা মুশির খান গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ঋষভ পন্থের মতো দ্বিতীয় জীবন পেয়েছেন মুশির। তাঁর দাদা সরফরাজ খান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট স্কোয়াডে ছিলেন। মুশিরকে না পাওয়া নিশ্চিতই ছিল। সংশয় ছিল সরফরাজকে নিয়েও। সে কারণেই অধিনায়ক করা হয় অভিজ্ঞ অজিঙ্ক রাহানেকে। কানপুর টেস্টের একাদশেও জায়গা না হওয়ায় ম্যাচের চতুর্থ দিন স্কোয়াড থেকে রিলিজ করা হয় মুম্বই টিমের সরফরাজ এবং অবশিষ্ট ভারত একাদশে থাকা ধ্রুব জুরেল, যশ দয়ালদের।

লখনউয়ে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অবশিষ্ট ভারত একাদশের ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। সেই সিদ্ধান্তই যেন বুমেরাং হল। প্রথম সেশনে বোলারদের জন্য কিছুটা সহযোগিতা থাকলেও এরপর ব্যাটিং স্বর্গ। শুরুতেই মুম্বইয়ের তিন উইকেট তুলে নিয়ে চাপে ফেলেছিলেন মুকেশ কুমার। কিন্তু মুম্বই অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে এবং সরফরাজ খান জুটি পরিস্থিতি ঠিক করেন। রাহানে ৯৭ রানে ফেরেন। যদিও দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে একাদশে সুযোগ না পাওয়া সরফরাজ খানের। এ ছাড়াও হাফসেঞ্চুরি শ্রেয়স আইয়ার এবং তনুষ কোটিয়ানের। লোয়ার অর্ডারে ব্য়াট হাতে অবদান রাখেন শার্দূলও। প্রথম ইনিংসে ৫৩৭ রানের বিশাল স্কোর মুম্বইয়ের।

অবশিষ্ট ভারত একাদশের লড়াইটা ওয়ান-ম্যান শো হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শুরুতেই ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের উইকেট হারায় তারা। ভাইস ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ দলীপের ফর্ম ধরে রেখেছেন। ১৯১ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস। ৯৩ রান করেন ধ্রুব জুরেল। যদিও বাকিদের থেকে সেই অর্থে সহযোগিতা না পাওয়ায় ৪১৬ রানেই শেষ অবশিষ্ট ভারত একাদশের ইনিংস। মুম্বই ১৪১ ওভার ব্যাট করেছিল, অবশিষ্ট ভারত একাদশ ১১০ ওভার। ওখানেই যেন ছবিটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, এই ম্যাচের ভবিষ্যৎ ড্র-এর দিকে যাচ্ছে।

দ্বিতীয় ইনিংসেও সেফ অপশন নিয়েছে মুম্বই। বড় লিড ছিল। চাইলে তারা দ্রুত ইনিংস ডিক্লেয়ার করে জয়ের জন্য ঝাঁপাতে পারত। সিদ্ধান্তটা ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণেই ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। পৃথ্বী শ-য়ের ৭৬ রানের পর খেই হারিয়েছিল মুম্বই। যদিও আট নম্বরে নেমে অপরাজিত সেঞ্চুরির ইনিংস তনুষ কোটিয়ানের। উল্টোদিকে মোহিত অবস্তি ভালো ব্যাটিং করছিলেন। ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে অপেক্ষা করছিলেন মোহিতের হাফসেঞ্চুরির। তা পূর্ণ হতেই ৩২৯/৮ স্কোরে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন। ম্যাচের ফয়সালা সম্ভব নয়, ধরে নিয়ে দুই অধিনায়ক হাত মিলিয়ে নেন। ডাবল সেঞ্চুরি করা সরফরাজই ম্যাচের সেরা।