
কলকাতা: মরসুমের প্রথম সুপার ওভার। তাতেই বাজিমাত দিল্লি ক্যাপিটালসের। অথচ রাজস্থান ইনিংসের শেষ ওভারের আগে মনে হয়নি এই ম্যাচ সুপার ওভারে গড়াতে পারে। ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৮৮ রান তোলে দিল্লি ক্যাপিটালস। রান তাড়ায় শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন ছিল রাজস্থানের। যদিও শেষ ওভারে মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৮ রান করে রাজস্থান। ম্যাচ টাই হওয়ায় যায় সুপার ওভার। আর সেখানেই নানা প্রশ্ন। কেন নীতীশ রানা কিংবা যশস্বী জয়সওয়ালকে সুপার ওভারে নামানো হল না? যশস্বীকে ওয়ান ডাউন নামানো হলেও স্ট্রাইকই পাননি। আর নীতীশ রানা পরিকল্পনাতেই ছিলেন না! সমালোচনার মাঝে মুখ খুললেন নীতীশ রানা।
রাজস্থান রয়্যালসের রান তাড়ায় দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন নীতীশ রানা ও যশস্বী জয়সওয়াল। নীতীশের স্ট্রাইকরেটও দুর্দান্ত। যদিও সুপার ওভারে পাঠানো হয় শিমরন হেটমায়ার ও রিয়ান পরাগকে। রিয়ানের আউটে নামেন যশস্বী। সুপার ওভার সমালোচনায় নীতীশ রানা বলেছেন, “এই সিদ্ধান্ত গুলি কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি নেন না। টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। যদি হেটমায়ার ওই মুহূর্তে দুটি ছয় মারত তা হলে এই প্রশ্নটা উঠত না। ম্যানেজমেন্ট ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবাই জানে হেটমায়ার আমাদের ফিনিশার। এর আগে এরকম বহু ম্যাচ জিতিয়েছে।’
নীতীশ আরও যোগ করেন, “ম্যানেজমেন্ট এবং সাপোর্ট স্টাফরা এই ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য থাকেন। যদি এই ম্যাচটি আমাদের পক্ষে যেত তা হলে প্রশ্নটি অন্যরকম হত। বোলিংয়ে সন্দীপ শর্মাও অতীতে বহুবার এমন পরিস্থিতিতে জিতিয়েছে। এই ম্যাচেও সুপার ওভারে যদি দুর্দান্ত বোলিং করত! পরিস্থিতির নিরিখে সুপার ওভারে ওই আমাদের জন্য সব থেকে কার্যকরী বোলার ছিলেন।’ সব মিলিয়ে দলের হারের জন্য কোনও একটি সিদ্ধান্ত যে দায়ী নয়, পরিষ্কার করে দেন নীতীশ রানা।