Shubman Gill: ‘ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না’, ফাদার্স ডে-তে আদুরে পোস্ট শুভমন গিলের
Father's Day : মাত্র ৩ বছর বয়সে ক্রিকেটে হাতেখড়ি শুভমন গিলের। ছেলেবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার জন্য শুভমন বরাবর তাঁর বাবার সমর্থন পেয়েছিলেন। আজ পিতৃ দিবসে বাবাকে নিয়ে আদুরে পোস্ট শেয়ার করেছেন গিল।

নয়াদিল্লি : মোবাইল হাতে তুলে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম কিংবা টুইটার খুললেই আজ এক ধরণের ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলে বাবার সঙ্গে ছবি শেয়ার করছেন। আর সেই ছবিতে থাকছে বাবার উদ্দেশে ২-৪ লাইন বার্তা। এর কারণ কী? আসলে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার সারা বিশ্বে পালিত হয় পিতৃ দিবস। দূরে থাকুন কিংবা কাছে, আজ ১৮ জুন ফাদার্স ডেতে (Father’s Day) বাবাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সকলেই। এমন দিনে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবাকে ফাদার্স ডে-র শুভেচ্ছা জানিয়ে আদুরে পোস্ট শেয়ার করেছেন ভারতের তরুণ তুর্কি শুভমন গিল (Shubman Gill)। তাঁর জীবনে বাবার অবদান নিয়ে অতীতেও জানিয়েছেন গিল। আবারও একবার সে কথাই তুলে ধরলেন শুভমন। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
পিতৃ দিবসে ইন্সটাগ্রামে বাবা লখবিন্দর সিংয়ের সঙ্গে ২টি ছবি শেয়ার করেন শুভমন গিল। সেই পোস্টের ক্যাপশনে গিল লেখেন, ‘বাবা তোমাকে নিয়ে আমি কী অনুভব করি সেটা বলে বা লিখে বোঝাতে পারব না। শব্দ দিয়ে তোমাকে ব্যাখ্যা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’
View this post on Instagram
বর্তমানে প্যারিসে রয়েছেন ভারতীয় দলের তরুণ ওপেনার শুভমন গিল। ওভালে হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পর নিজের মতো করে ছুটি কাটাচ্ছেন গিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্যারিস ট্রিপের ছবিও মাঝে মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরছেন শুভমন। এরই মাঝে ফাদার্স ডে-তে বাবার উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন গিল। আসলে শুভমনের ক্রিকেট কেরিয়ারে তাঁর বাবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
পঞ্জাবের এক কৃষক পরিবারের ছেলে এখন বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের ছাপ রাখা শুরু করেছেন। শুভমন গিলের ক্রিকেট জীবন শুরু হয়েছিল ক্ষেতে কাজ করা শ্রমিকদের হাতে বল দিয়ে অনুশীলন করে। ছেলেবেলায় পড়াশুনার থেকে ক্রিকেটে শুভমনকে বেশি সময় ব্যয় করতে বলতেন তাঁর বাবা লখবিন্দর সিং। শুভমনের ছেলেবলায় তাঁর সহপাঠীরা অনেকেই বলতেন পড়াশুনায় মন দিতে। কিন্তু গিলের ফোকাস ছিল ক্রিকেটে। যে কারণে স্কুলে দিন দিন তাঁর অনুপস্থিতির হার বাড়তে থাকে। এক সময় গিলের বাবা তাঁর স্কুলে আলাদা করে হাফ ডে-র ব্যবস্থাও করেছিলেন। যাতে শুভমন ক্রিকেটে বেশি সময় দিতে পারেন। স্কুল সেই সময় গিলকে সেই অনুমতি দিয়েছিল। আর এখন তারই ফল পাচ্ছেন শুভমন। বাবা না থাকলে এতটা পথ তাঁর পেরিয়ে আসা সহজ হত না বলেও বিভিন্ন সময় উল্লেখ করেছেন শুভমন।
