T20 World Cup 2022: বড় মঞ্চে জ্বলে উঠলেন বাবর-রিজওয়ান, ফাইনালে পাকিস্তান

Sydney: পারফরম্যান্সে আতসকাচে থাকা অধিনায়ক বাবর আজম এবং বিশ্ব ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান হারানো মহম্মদ রিজওয়ান, দু-জনই অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন। শতরানের ওপেনিং জুটি গড়ে তারা।

T20 World Cup 2022: বড় মঞ্চে জ্বলে উঠলেন বাবর-রিজওয়ান, ফাইনালে পাকিস্তান
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2022 | 5:22 PM

দীপঙ্কর ঘোষাল

তাহলে কি ১৯৯২’র পুনরাবৃত্তি? ফর্ম্যাট আলাদা। সে বার ছিল ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইমরান খানের পাকিস্তান (Pakistan)। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও (T20 World Cup 2022) খাদের কিনারে ছিল বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাক দল। এ দিন নিউজিল্যান্ডকে (New Zealand) হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করল পাকিস্তান। বাবর আজম-মহম্মদ রিজওয়ানের শতরানের জুটি ভরসা দিল পাকিস্তানকে। টুর্নামেন্টের প্রথম অর্ধশতরান সেমিফাইনালের মঞ্চে। মেলবোর্নের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান হতে পারে কি? হলেও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচের ফলের পুনরাবৃত্তি হবে কি! এই প্রত্যাশাই করছেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। তার জন্য আরও একটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। প্রথম সেমিফাইনালের নানা তথ্য তুলে ধরল TV9Bangla

সুপার ১২ এ প্রথম ম্যাচে জয়ের দোরগোড়া থেকে ভারতের কাছে হার। এমনকি জিম্বাবোয়ে কাছেও হার। পাকিস্তান ক্রিকেটে তুলকালাম শুরু হয়েছিল। দল বাছাই, অযোগ্য টিম ম্যানেজমেন্ট, বোর্ডের মসনদে থাকা রামিজ রাজাকেও তুলোধনা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। হঠাৎই যেন বদলে গেল পরিস্থিতি। সুপার টুয়েলভ পর্বে প্রথম দুটি হারের পর একটি জয় মানেই ছিল লাইফলাইন। নেদারল্যান্ডসের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা হারতেই বড় সুযোগ আসে পাকিস্তান শিবিরে। বাংলাদেশকে হারালেই সেমিফাইনাল। সেটাই করেছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে ধারাবাহিকতা বজায় রাখল।

খরগোশের গতিতে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। সুপার টুয়েলভে গ্রুপ সেরা হয়েই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। এ দিন টসে জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। লক্ষ্য ছিল, বড় রান তুলে বোলারদের উপর ভরসা রাখা। টুর্নামেন্টে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছেন কিউয়ি বোলাররা। সেমিফাইনালে যদিও তাঁদের লড়াই যথেষ্ঠ ছিল না। বোর্ডে রানও কম ছিল। রানে ফিরলেও নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন শাহিন আফ্রিদি। অনবদ্য থ্রোয়ে আর এক ওপেনার ডেভন কনওয়েকে রান আউট করেন শাদাব খান। কেন উইলিয়ামসন ৪৬ রান করলেও স্ট্রাইকরেট মাত্র ১০৯! টুর্নামেন্টের অন্যতম ধারাবাহিক পারফর্মার গ্লেন ফিলিপস মাত্র ৬ রান। নিউজিল্যান্ড ইনিংসকে কিছুটা গতি দিলেন ড্যারেল মিচেল। তাঁর ৩৫ বলে ৫৩ রানের সৌজন্যে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫২ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।

প্রত্যাবর্তন ঘটানো পাকিস্তানের কাছে এই লক্ষ্য কঠিন ছিল না। বিশেষত দুই ওপেনার ফর্মে ফেরায় কাজ আরও সহজ হয়ে যায়। পারফরম্যান্সে আতসকাচে থাকা অধিনায়ক বাবর আজম এবং বিশ্ব ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান হারানো মহম্মদ রিজওয়ান, দু-জনই অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন। শতরানের ওপেনিং জুটি গড়ে তারা। রিজওয়ান ৫৭ এবং বাবর ৫৩ রান করেন। পাকিস্তানের নতুন সেনসেশন মহম্মদ হ্যারিস করেন ৩০ রান। ৫ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় পাকিস্তানের। তৃতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : নিউজিল্যান্ড ১৫২-৪, ২০ ওভার (ড্যারেল মিচেল ৫৩*, কেন উইলিয়ামসন ৪৬, শাহিন আফ্রিদি ২-২৪)। পাকিস্তান ১৫৩-৩, ১৯.১ ওভার (মহম্মদ রিজওয়ান ৫৭, বাবর আজম ৫৩, ট্রেন্ট বোল্ট ২-৩৩)। পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।