চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জটিলতা কমছে না। বরং সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি আরও গম্ভীর হচ্ছে। পরিস্থিতি যেমন যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নাম তুলে নিতে পারে আয়োজক পাকিস্তান! এও কি সম্ভব? ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে পাকিস্তানের। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যেই সরকারি ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানে টিম পাঠাবে না ভারত। সরকারের অনুমতি না মেলাতেই এমন সিদ্ধান্ত। আর এতেই ধৈর্য হারাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আরও একটা হাইব্রিড মডেলের প্রতিযোগিতায় নারাজ পাকিস্তান!
গত বছর এশিয়া কাপেরও আয়োজক ছিল পাকিস্তান। যদিও ভারতীয় দল পাকিস্তানে যাবে না আগেই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে জানিয়ে দিয়েছিল বোর্ড। শেষ অবধি হাইব্রিড মডেলে হয়েছিল টুর্নামেন্ট। গ্রুপ পর্বে ভারতের যাবতীয় ম্যাচ এবং নকআউট পর্ব আয়োজিত হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। বাকি হাতে গোনা কয়েকটি ম্যাচ হয়েছিল পাকিস্তানে। এ বারও হাইব্রিড মডেলেরই প্রসঙ্গ উঠে আসছে। তার কারণ, ভারত খেলতে যাবে না।
ভারতীয় দল পাকিস্তানে না গেলে সে দেশে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়া সম্ভব নয়। কয়েক দিন আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারাও বলেছিলেন, ভারতকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজনের ভাবনা বৃথা। ব্রডকাস্টাররাও আগ্রহ দেখাবে না। সুতরাং, পাকিস্তানকে হাইব্রিড মডেলের মতো এমন কিছুই ভাবতে হবে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি মন্তব্য করেছেন, ‘সব সময় আমরাই ভালো আচরণ দেখিয়ে যাব, তা হয় না।’
গত বছর আইসিসি ওয়ান ডে বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে। নানা হুঁশিয়ারি দিলেও শেষ অবধি খেলতে এসেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। তবে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই দল পাঠাতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ভারতে আসার আগে পাকিস্তান বোর্ড এবং সরকার একটি বিশেষ টিম পাঠিয়েছিল নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে। সন্তুষ্ট হওয়ার পরই টিম পাঠিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানে নিয়মিত অশান্তির জেরে সেই ঝুঁকি নিতে নারাজ ভারতীয় বোর্ড।
পিসিবি প্রধান মহসিন নকভির মন্তব্যে মনে করা হচ্ছে, আয়োজক হিসেবেই শুধু নয় ‘অপমানিত’ পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকেও সরে দাঁড়াতে পারে। যদিও এটি আইসিসির টুর্নামেন্ট। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ নয়।