BABAR AZAM Dropped: বাবর আজম সহ হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারদের বাদ দিল পাকিস্তান

Pakistan Cricket Team: দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে নতুন মুখদের। তিন আনক্যাপড প্লেয়ার কামরান গুলাম, হাসিবুল্লা এবং স্পিনার মেহরান মুমতাজকে স্কোয়াডে যোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিজ্ঞ দুই স্পিনার সাজিদ খান ও নোমান আলিকে নেওয়া হয়েছে।

BABAR AZAM Dropped: বাবর আজম সহ হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারদের বাদ দিল পাকিস্তান
Image Credit source: PTI

Oct 13, 2024 | 6:51 PM

বাংলাদেশের কাছে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ক্লিনসুইপ হয়েছিল পাকিস্তান। প্রথম বার বাংলাদেশের কাছে টেস্ট হেরেছিল তারা। ঘরের মাঠেই এ বার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। প্রথম টেস্টে ব্যাটিং স্বর্গ তৈরি ছিল। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে করে ৫৫৬ রানও। ইংল্যান্ড ৮২৩ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। ব্যাটিং পিচেও দাপট দেখায় ইংল্যান্ড বোলাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান শেষ মাত্র ২২০ রানেই। ইনিংস ও ৪৭ রানে জয় ইংল্যান্ডের। এই হারের পরই সমালোচনায় জর্জরিত ছিল নির্বাচন কমিটিও। বাকি দুই টেস্টের স্কোয়াডে ব্যাপক রদবদল করল পিসিবি। বাদ বাবর আজম সহ শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ!

প্রথম টেস্টের পরই বাবরের বাদ পড়ার জল্পনা চলছিল। সেটাই সত্যি হল। তবে আরও দুই হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া হবে, সেটা যেন প্রত্যাশিত ছিল না। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের বর্তমান ফর্ম এবং ফিটনেসের জন্যই বাকি দুই টেস্টের স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে নতুন মুখদের। তিন আনক্যাপড প্লেয়ার কামরান গুলাম, হাসিবুল্লা এবং স্পিনার মেহরান মুমতাজকে স্কোয়াডে যোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিজ্ঞ দুই স্পিনার সাজিদ খান ও নোমান আলিকে নেওয়া হয়েছে।

ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্টে হারের পর বোলিং নিয়ে প্রকাশ্যেই হতাশার কথা জানিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন শান মাসুদ। বাবর আজমের ফর্ম দীর্ঘ সময় থেকেই খারাপ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও রান পাননি। এমনকি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাটিং পিচেও পারফর্ম করতে পারেননি। সহজ ক্যাচও ফসকেছেন। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে ছিলেন বাবর আজম। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহর মতো দুই তারকা পেসারকেও বাদ, নিঃসন্দেহে চমকে দেওয়া সিদ্ধান্ত।

বাবর আজমকে বাদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের আর এক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ফখর জমান। বিরাট কোহলির উদাহরণ টেনে তিনি মন্তব্য করেছেন, বিরাটের ব্যাটে যখন রানের খরা চলছিল, ভারতীয় বোর্ড কিন্তু তাঁকে বাদ দেয়নি, বরং পাশে দাঁড়িয়েছিল। দেশের সেরা ব্যাটারকে বাদ দেওয়ার মতো কড়া সিদ্ধান্ত না নিলেই ভালো হত বলে মনে করেন ফখর।