Harbhajan Singh: লর্ডসের ব্যালকনিতে ‘সৌরভ’ হতে চেয়েছিলেন ভাজ্জিও, আটকেছিলেন সতীর্থ!

Sourav Ganguly: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ২০০২ সালের ১৩ জুলাই ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের দিন চেয়েছিলেন দলের সকলে তাঁর মতো জার্সি খুলে ওড়াক। কিন্তু সচিন তেন্ডুলকর এবং রাজীব শুক্লা সেই সময় বলেছিলেন, জিনিসটা করা ঠিক হবে না। কিন্তু সৌরভ বলেছিলেন, কেউ না জার্সি খুলে ওড়ালেও, তিনি ওড়াবেন। এবং সেটাই মহারাজ করে দেখিয়েছিলেন। সৌরভের সঙ্গে সেই দিন ভারতের তারকা ক্রিকেটার হরভজন সিংও (Harbhajan Singh) চেয়েছিলেন জার্সি খুলে ওড়াতে। কিন্তু তাঁকে আটকে দেন তাঁরই এক সতীর্থ।

Harbhajan Singh: লর্ডসের ব্যালকনিতে 'সৌরভ' হতে চেয়েছিলেন ভাজ্জিও, আটকেছিলেন সতীর্থ!
Harbhajan Singh: লর্ডসের ব্যালকনিতে 'সৌরভ' হতে চেয়েছিলেন ভাজ্জিও, আটকেছিলেন সতীর্থ!
Follow Us:
| Updated on: Jan 22, 2024 | 8:30 AM

কলকাতা: লর্ডসে ঘুরপাক জামা মানে দাদাগিরি… স্টেপ আপ করে ছক্কা মানে দাদাগিরি… হালকা পেসের ধাক্কা মানে দাদাগিরি… এ সব গানের কলি তো ‘দাদাগিরি’ রিয়ালিটি শোয়ের দৌলতে সকলের জানা। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) আসল দাদাগিরি দেখিয়েছিলেন ২০০২ সালে লর্ডসের মাটিতে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতার পর লর্ডসের ব্যালকনিকে জার্সি খুলে গর্বের সঙ্গে উড়িয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ যতবারই ওঠে নতুনের মতো অনুভূতি হয়। কয়েকদিন আগেই বিসিসিআইয়ের বর্তমান সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা জানিয়েছিলেন, সৌরভ ২০০২ সালের ১৩ জুলাই ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের দিন চেয়েছিলেন দলের সকলে তাঁর মতো জার্সি খুলে ওড়াক। কিন্তু সচিন তেন্ডুলকর এবং রাজীব শুক্লা সেই সময় বলেছিলেন, জিনিসটা করা ঠিক হবে না। কিন্তু সৌরভ বলেছিলেন, কেউ না জার্সি খুলে ওড়ালেও, তিনি ওড়াবেন। এবং সেটাই মহারাজ করে দেখিয়েছিলেন। সৌরভের সঙ্গে সেই দিন ভারতের তারকা ক্রিকেটার হরভজন সিংও (Harbhajan Singh) চেয়েছিলেন জার্সি খুলে ওড়াতে। কিন্তু তাঁকে আটকে দেন তাঁরই এক সতীর্থ।

ইন্সটাগ্রামে এক ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাহুল দ্রাবিড় জানিয়েছেন ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের দিন ভাজ্জিও চেয়েছিলেন দাদার মতো জার্সি খুলে ওড়াতে। কিন্তু দ্রাবিড় তা করতে দেননি হরভজনকে। বলিউড তারকা অপারশক্তি খুরানার সঞ্চালনা করা এক শো-তে দ্রাবিড় জানান, এই গল্প। তিনি বলেন, ‘দাদাকে জার্সি খুলে ওড়াতে দেখে হরভজনও জার্সি খুলতে যাচ্ছিল। আমি শক্ত করে ওর জার্সি ধরে রেখেছিলাম। যাতে ও সেটা না করতে পারে।’ তবে দ্রাবিড় জানান, হরভজন সেদিন জার্সি খুললে একটা জিনিস দেখা যেত যে, দাদার থেকে ভাজ্জির শরীর একটুখানি বেশি ভালো। এরপর ওই শোতে উপস্থিত থাকা অজিত আগরকর হাসতে হাসতে বলেন, ‘দাদা হয়তো পরে একটাই কারণে দুঃখ পেয়েছিল। নিজের শরীরের জন্য। দাদা হয়তো ভেবেছিল ওর জিম ট্রেনারের ওর বডি বানানোর ওপর আরও মনোযোগ দেওয়ার দরকার আছে।’

অতীতে হরভজন সিংও লর্ডসে সৌরভের মতো তাঁর জার্সি খুলে ওড়ানো নিয়ে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ওয়াংখেড়েতে ওর জার্সি খুলে উড়িয়েছিল। এবং আমরা সেটা মনে রেখেছিলাম। যে মুহুর্তে আমরা ম্যাচ জিতেছিলাম (ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি ফাইনাল), দাদা নিজের জার্সি খুলে ফেলছিল এবং আমিও আমার জার্সি খুলে ফেলতে চেয়েছিলাম। সেটা বুঝতে পেরে দ্রাবিড়ই আমার হাত ধরে আমাকে থামিয়েছিল। পরে বুঝেছি, আমাকে সেদিন থামানোর জন্য আমি ওর কাছে কৃতজ্ঞ।’