কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) হয়ে অভিষেকেই নজর কেড়েছেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের (Venkatesh Iyer) পারফরম্যান্সে মুগ্ধ কোচ রাহুল দ্রাবিড়, অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। গতকালই কলকাতা ছেড়ে মুম্বই গিয়েছিলেন একটা জরুরী কাজে। জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা ঠিক কী রকম? টিভি নাইন বাংলাকে টেলিফোনে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কার দিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার।
ভারতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা:
দেশের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে অসাধারণ। তরুণ ক্রিকেটারদের যে ভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সেটা সত্যিই খুব ভালো। দলের মধ্যে একটা সুন্দর বোঝাপড়া আছে। ড্রেসিংরুমে একটা শান্তি আছে। এ সবের মধ্যে থেকে সবাই কি ভাবে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছে, তা দেখার অভিজ্ঞতা হল। এই সিরিজ স্মরণীয় রয়ে থাকবে।
দ্রাবিড়ের ভোকাল টনিক:
দ্রাবিড় স্যার সব সময় আমাকে উদ্বুদ্ধ করে গিয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিনটে বিভাগেই আমাকে নজর দিতে বলেছে। একজন প্রকৃত অলরাউন্ডার হিসেবেই আমাকে দেখতে চাইছে। সিরিজ শেষে আমাকে আলাদা ভাবে পরামর্শও দেয়, কোন দিকগুলোতে বিশেষ করে নজর দেওয়া উচিত। সেটাই আমার সম্পদ।
The grin says it all! ?
A moment to cherish for @ivenkyiyer2512 as he makes his #TeamIndia debut. ? ?#INDvNZ @Paytm pic.twitter.com/2cZJWZBrXf
— BCCI (@BCCI) November 17, 2021
ইডেনে খেলার অভিজ্ঞতা:
ঐতিহাসিক ইডেনে খেলার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছিল। মাঠ ভর্তি দর্শকের সামনে খেলার অভিজ্ঞতা সবসময়ই ভালো। ইডেনের দর্শকরা আমার মতো নবাগতকে যে ভাবে উত্সাহ জোগাচ্ছিল তাতে আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যায়।
কোথায় আরও উন্নতির প্রয়োজন?
আমার মনে হয় তিনটে বিভাগেই আমাকে আরও ক্ষীপ্র হতে হবে। জাতীয় দলে খেলা মানেই আমার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে তা নয়। আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আমার কাছ থেকে প্রত্যাশাও আরও বেড়ে গিয়েছে দলের। বিশেষ করে ব্যাটিং করার সময় কি ভাবে আরও বড় শট নেওয়া যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই। ব্যাটাররা কোন বলে আমাকে সহজে খেলতে পারছে, সেটা দেখে ভুল শোধরাতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি।
ব্যাটিং পজিশন:
যে কোনও জায়গাতেই ব্যাটিং করতে চাই। সেটার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। কোনও নির্দিষ্ট পজিশন নিয়ে ভাবি না। পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই ব্যাটিং পজিশনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে।
সৌরভের সঙ্গে কথা হয়েছে?
বায়ো-বাবলে থাকায় কলকাতা এসেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়নি। এর মধ্যে কথাও হয়নি। তবে দাদার সঙ্গে কথা বলতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগবে। মনে আছে, আইপিএল খেলার সময়ই শেষ বার কথা হয়েছিল। আমাকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিল।
পরবর্তী লক্ষ্য:
সামনেই বিজয় হাজারে ট্রফি। মধ্যপ্রদেশের হয়ে খেলব। সেটাতেই এখন ফোকাস করছি। ওখানে ভালো পারফর্ম করতে চাই। মনের মধ্যে অনেক কিছুই আসবে। কিন্তু লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে। আপাতত ম্যাচ প্রতি ম্যাচ, টুর্নামেন্ট প্রতি টুর্নামেন্ট নিয়েই ভাবনা চিন্তা করতে চাই।
আরও পড়ুন: India vs New Zealand: ঘূর্নি থাকলে কানপুরে তিন স্পিনারে যাবে নিউজিল্যান্ড