আকাশে রোদ, কিন্তু তৃতীয় দিনও ম্যাচ শুরু করা গেল না! বাংলা ক্রিকেট সংস্থার জন্য চূড়ান্ত লজ্জার হয়ে দাঁড়িয়েছে রঞ্জি ট্রফির হোম ম্যাচ। অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে রঞ্জি অভিযান শুরু করেছিল বাংলা। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ছয় পয়েন্টের লক্ষ্যেই ঝাঁপিয়েছিল। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের একা কুম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন প্রিয়ম গর্গ। তাঁর সেঞ্চুরিতে ম্যাচ ড্র হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ঘরের মাঠে পুরো পয়েন্ট নেওয়া পরবর্তী লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। যদিও কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তৃতীয় দিনও ম্যাচ শুরুই করা গেল না। বৃষ্টি নেই, কিন্তু মাঠ রেডি করা যায়নি।
ঘরের মাঠে বিহারের বিরুদ্ধে নামার কথা বাংলার। এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হত মুকেশ কুমারকে। দলীপ ট্রফি থেকে টানা খেলছিলেন। অভিজ্ঞ কিপার ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহাকেও বিশ্রাম দেওয়া হত। খাতায় কলমে তুলনামূলক দুর্বল দল বিহারের বিরুদ্ধে তরুণদের দেখে নেওয়ার সুযোগ ছিল। তেমনই অভিমন্যু ঈশ্বরণের শততম প্রথম শ্রেনির ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখার লড়াই। সবটাই অবশ্য জলে। শেষ দিনও খেলা শুরু করা যাবে কিনা, যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
রঞ্জি ট্রফির অন্য ম্যাচে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন উত্তরপ্রদেশের ব্যাটার রিঙ্কু। সদ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেছেন। ভালো পারফর্মও করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে অনেকটা সময় থাকায় প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে নেমেছেন। হরিয়ানার বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন। মাত্র ১১০ বলে ৮৯ রান করেন রিঙ্কু। ১০টি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন।
জমে উঠেছিল মুম্বই বনাম মহারাষ্ট্র ম্যাচ। তৃতীয় দিনের শেষে অবশ্য চালকের আসনে মুম্বই। হার দিয়ে রঞ্জি অভিযান শুরু হয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বইয়ের। মহারাষ্ট্রে বিরুদ্ধে চতুর্থ ইনিংসে তাদের টার্গেট মাত্র ৭৪ রান। শেষ দিন চাই আর ৬১ রান। ক্রিজে রয়েছেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা আয়ুষ মাহত্রে ও অভিজ্ঞ ওপেনার পৃথ্বী শ। এই দু-জনই বাকি ৬১ রান তুলে দিতে পারলে বোনাস পয়েন্টের সুযোগ রয়েছে মুম্বইয়ের কাছে।