Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Wriddhiman Saha Retirement Match: আবেগের ম্যাচে শূন্য ঋদ্ধি, সেলিব্রেট করলেন না পঞ্জাব ক্রিকেটাররা

Ranji Trophy 2024-25, Bengal vs Punjab: টানা ১৭ বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলা। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা। টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি। বিশ্বের অন্যতম সেরা কিপার শেষ ম্যাচে ফিরলেন শূন্যতেই। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ এলে আলাদা বিষয়। পরিস্থিতি এতটাই আবেগের যে পঞ্জাব ক্রিকেটাররাও সেলিব্রেট করলেন না।

Wriddhiman Saha Retirement Match: আবেগের ম্যাচে শূন্য ঋদ্ধি, সেলিব্রেট করলেন না পঞ্জাব ক্রিকেটাররা
Image Credit source: CAB
Follow Us:
| Updated on: Jan 31, 2025 | 1:08 PM

কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে আবেগে ভাসছিলেন কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যানও। নয়তো তাঁর টেস্ট কেরিয়ার গড় হতে পারত ১০০। ঋদ্ধিমান সাহা ব্যাটার হিসেবে ডন ব্র্যাডম্যান নন। তবে মানুষ হিসেবে তো এমন আবেগী হওয়ায় স্বাভাবিক। সেই ২০০৭ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটের সফর শুরু হয়েছিল। এরপর জাতীয় দলে সুযোগ। দেশের হয়ে ৪০টা টেস্ট। টানা ১৭ বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলা। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা। টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি। বিশ্বের অন্যতম সেরা কিপার শেষ ম্যাচে ফিরলেন শূন্যতেই। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ এলে আলাদা বিষয়। পরিস্থিতি এতটাই আবেগের যে পঞ্জাব ক্রিকেটাররাও তাঁর উইকেট সেলিব্রেট করলেন না।

একদিকে দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন করেছেন বিরাট কোহলি। তাঁর জন্য অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে জনজোয়ার। অন্য দিকে, তাঁর চোখে বিশ্বের সেরা কিপার ঋদ্ধিমান সাহা কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলছেন কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। ঋদ্ধির জন্য এত আয়োজন নেই। ঋদ্ধি কোনওদিনই স্পটলাইটে থাকা পছন্দ করেন না। সহজ হওয়াটাই সবচেয়ে কঠিন। সে কারণেই ঋদ্ধি ব্যতিক্রমী।

বাংলা বনাম পঞ্জাব ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ব্যাট-প্যাডে রেডি ছিলেন ঋদ্ধি। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল পরিণত ব্যাটারের মতো খেলেন। উল্টোদিকে অভিষেক পোড়েল দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন। ঋদ্ধির পর বাংলার দস্তানা অভিষেকের হাতেই হয়তো সুরক্ষিত থাকবে। সেই অভিষেক পোড়েল হাফসেঞ্চুরির পর ফিরতে ক্রিজে প্রবেশ ঋদ্ধিমান সাহার। বাংলা দলের সতীর্থ, সাপোর্ট স্টাফ সকলের গার্ড অব অনারে ব্যাট হাতে নামলেন ঋদ্ধি। আউট হওয়া ব্য়াটার অভিষেকের পিঠে হাত রাখলেন।

বাইশগজের দিকে এগোতেই পঞ্জাব ক্রিকেটাররাও দু-পাশে দাঁড়িয়ে ঋদ্ধির অপেক্ষায়। গার্ড অব অনার দিলেন। কয়েকজনের সঙ্গে হাতও মেলালেন ঋদ্ধি। আম্পায়ারও ঋদ্ধিকে দেখে হাত বাড়িয়ে দিলেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করা সত্যিই কঠিন। কয়েকটা মিনিট ক্রিজে কাটল। যদিও রানের খাতা খোলার সুযোগ হয়নি। গুরনুরের বোলিংয়ে আউট সাইড এজ। উইকেটের পিছনে দুর্দান্ত ক্যাচ পঞ্জাব কিপার মায়াঙ্ক মালহোত্রার। যদিও ঋদ্ধির আউটে সেলিব্রেট করেননি কেউ। হাসি মুখেই মাঠ ছাড়েন ঋদ্ধি। শেষ ম্যাচের আবেগ যে ঘিরে ধরেছে শরীরীভাষায় পরিষ্কার। মুখে হাসি অম্লান।