গত মরসুমে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেননি। বোর্ডের নির্দেশ অবজ্ঞা করেছিলেন। যার ফলও ভুগতে হয়েছিল ঈশান কিষাণকে। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন। সব মিটিয়ে এ বার ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। তবে জাতীয় দলে প্রত্য়াবর্তন হয়নি। শ্রেয়স আইয়ারও বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছিলেন। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন চোট পান শ্রেয়স। অভিযোগ, ফিট হয়ে উঠলেও মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে নামতে চাননি। যদিও দ্রুত ভুল শুধরে রঞ্জির নকআউটে খেলেছিলেন শ্রেয়স। তবে টেস্ট দলে আর জায়গা ফিরে পাননি।
ঈশান কিষাণের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন অবশ্য দুর্দান্ত হয়েছিল। দলীপ ট্রফিতে সেঞ্চুরিও মেরেছেন। ইরানি কাপে অবশ্য ভালো যায়নি। দলীপে সেঞ্চুরির পর প্রত্যাশা করেছিলেন, এ বার হয়তো জাতীয় দলে কামব্য়াক হবে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট স্কোয়াডে ঋষভ পন্থ ফিরেছিলেন। জায়গা ধরে রেখেছিলেন আর এক কিপার ব্যাটার ধ্রুব জুরেল। শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাতেও সুযোগ হয়নি ঈশান-শ্রেয়সের।
জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়াতেই কি হতাশায় ভুগছেন ঈশান কিষাণ? এই প্রশ্নটাও ঘোরাফেরা করছে। প্রত্যাবর্তনের জন্য ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স চাই। রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম দু-ম্যাচে ঝাড়খণ্ডকে নেতৃত্বও দেবেন ঈশান। অসমের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১ রান ক্যাপ্টেন ঈশান কিষাণের। শ্রেয়সের পরিস্থিতি আরও করুণ। দলীপে দুটি হাফসেঞ্চুরি বাদ দিলে ধারাবাহিক ব্যর্থতা চলছে লাল-বলের ক্রিকেটে। রঞ্জি মরসুমেও শুরুটা হল হতাশায়। বরোদার বিরুদ্ধে ৮ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন শ্রেয়স।