ভারতীয় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। তাঁর বোলিং এবং ফিল্ডিং বরাবরই দলের সম্পদ। গত কয়েক বছরে অন্যতম ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে তাঁর ব্যাটিং। লোয়ার অর্ডারে অশ্বিন-জাডেজার মতো ব্যাটার থাকা মানেই অ্যাডভান্টেজ। সে কারণেই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কম্বিনেশন বাছতে খুব একটা সমস্যা হয় না। চেন্নাই টেস্টে ভারতের জয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান অশ্বিন-জাডেজা জুটিরই। টপ ও মিডল অর্ডারকে ফিরিয়ে স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ। তারা যেন ধরেই নিয়েছিল ম্যাচ তাদের হাতে, সে সময় অশ্বিন-জাডেজার ১৯৯ রানের জুটি। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন অশ্বিন। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস জাডেজার। বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। এ বার দ্বিতীয় দ্রুততম হিসেবে অনন্য রেকর্ডের সামনে রবীন্দ্র জাডেজা।
চেন্নাই টেস্টের আগে কেরিয়ারে এই ফরম্যাটে রবীন্দ্র জাডেজার উইকেট সংখ্যা ছিল ২৯৪। চেন্নাইতে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নিলেও ৩০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে যেতেন। অল্পের জন্য হয়নি। টেস্টে তাঁর উইকেট সংখ্যা ২৯৯। মাইলফলকে পৌঁছতে চাই আর মাত্র একটা উইকেট। সব কিছু ঠিক থাকলে কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনই এই মাইলফলকে পৌঁছে যেতে পারেন জাডেজা। টেস্টে ৩ হাজার রানের মাইলফলক আগেই পেরিয়েছেন।
ইয়ান বথামের পর দ্বিতীয় দ্রুততম হিসেবে টেস্টে ৩০০ উইকেট এবং ৩ হাজার রানের মাইলফলকের সামনে রবীন্দ্র জাডেজা। কিংবদন্তি ইয়ান বথাম ৭২ ম্যাচে এই মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন। রবীন্দ্র জাডেজার কাছে সুযোগ ৭৪ ম্যাচেই এই মাইলস্টোনে পৌঁছনোর। এর জন্য জাডেজার প্রয়োজন মাত্র একটি উইকেট। কানপুর টেস্টের প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছে। বোলিং করানো হয়নি জাডেজাকে দিয়ে। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে রেকর্ডের অপেক্ষা।