
প্রথম ইনিংসে ছয় মেরে সেঞ্চুরি করেছিলেন ঋষভ পন্থ। টেস্ট কেরিয়ারে সেটি ছিল সপ্তম। ভারতীয় কিপার ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন। পন্থ ও ধোনি দু-জনেই তার আগে ছটি সেঞ্চুরিতে ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ধোনিকে ছাপিয়ে যান। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি ঋষভ পন্থের। এমন রেকর্ড টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতের কোনও কিপার-ব্যাটার করে দেখাতে পারেননি। টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি অনেক ব্যাটারের রয়েছে। কিন্তু কিপার হিসেবে প্রথম ঋষভ পন্থ। অবিশ্বাস্য এই রেকর্ড তৈরি হল লিডসে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৭ বলে ৯৮-তে ছিলেন পন্থ। উল্টোদিকে সেঞ্চুরি কমপ্লিট লোকেশ রাহুলের। একটা সময় ৬২ বলে ৩৫ রানে ছিলেন ঋষভ পন্থ। তিনি যে ডিফেন্সে কতটা উন্নতি করেছেন, এর থেকেই পরিষ্কার। ঋষভ পন্থ স্ট্রাইকে আসতেই গ্যালারিতে তাঁর নামে ধ্বনি। বল টার্ন হচ্ছে দেখেই লিভ করেন। এরপর আরও একটা ডট বল। ফের লিভ। অফ স্পিনার শোয়েব বশির বোলিং করছিলেন। ওভারের শেষ ডেলিভারিও ব্লক করেন। ১২১ বলে ৯৮-তেই।
স্ট্যান্ডে অপেক্ষায় দেশের প্রাক্তন কিংবদন্তিরা। এর মধ্যে ছিলেন রবি শাস্ত্রী, সুনীল গাভাসকরও। অস্ট্রেলিয়া সফরে পরপর দ্বিতীয় ডেলিভারিতে সেম শট খেলতে গিয়ে আউট হওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন সানি গাভাসকর। স্টুপিড বলতেও দ্বিধা করেননি। সেই পন্থ বল ছাড়ছেন, ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন। এ যেন অবিশ্বাস্য। পরের ওভারে জো রুট বোলিংয়ে আসেন। আবারও ধৈর্যের খেলা পন্থের। ওভারের শেষ বলে সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক রাখেন। ১২৬ বলে ৯৯। অপেক্ষা কিছুটা বাড়ে।
পরের ওভারে অফস্পিনার শোয়েব বশির বোলিংয়ে। বেন স্টোকস অনেক ফিল্ডারকে ভিতরে নিয়ে আসেন। ঋষভকে বড় শট খেলার আমন্ত্রণ। অবশেষে ১৩০ বলে সিঙ্গল নিয়ে সেঞ্চুরি। টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি। সুনীল গাভাসকর স্ট্যান্ড থেকে ইশারা করেন সামারসল্ট সেলিব্রেশনের। ঋষভ তাঁকে পাল্টা ইশারা করেন, আবার পরে। নতুন সেলিব্রেশন দেখা যায় তাঁর। কেরিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরির পরও শান্ত পন্থ। স্রেফ ইশারায় বোঝান, ফোকাস! এটাই যেন সেলিব্রেশন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম ব্যাটার হিসেবে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড।