মুম্বই: পুরো টিম থেকে মাত্র চারজন প্লেয়ার বাছা যে কত কঠিন কাজ, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) বোধহয় সবচেয়ে বেশি বুঝেছে। পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের টিম গত কয়েক বছর ধরে মোটামুটি একই ছিল। রিটেনশন পলিসির জন্য রোহিত শর্মা, কায়রন পোলার্ড, জশপ্রীত বুমরা, সূর্যকুমার যাদবদের শুধু রাখতে পেরেছে। অধিকাংশ সেরা প্লেয়ারকেই ছেড়ে দিতে হয়েছে। হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya), ঈশান কিষাণদের (Ishan Kishan) মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের রিলিজ করে দিয়েছে মুম্বই। নিলাম থেকে তাঁদের কেনা হলে তবেই আবার পুরনো ঠিকানায় ফিরতে পারবেন হার্দিকরা। তা নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই ক্যাপ্টেন রোহিতের।
রোহিত বলেছেন, ‘মুম্বইয়ের কাছে সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল মাত্র চারজন ক্রিকেটার বাছা। আমাদের টিমে বেশ কিছু অসাধারণ প্লেয়ার ছিল। যারা নিজেদের দিনে সেরা। তাদেরকেই ছেড়ে দিতে হলে খারাপ তো লাগবেই। ওই ক্রিকেটাররা কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে টিমকে সাফল্য দিতে দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। দারুণ রেকর্ডও রেখে গিয়েছে। আশা করি আমরা একটা ভালো টিম বানাতে পারব। যা আবার আগের মতো দুরন্ত হয়ে উঠবে।’
হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। চোট থাকা সত্ত্বেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় টিমে খেলেছেন। একে তো পারফর্ম করতে পারেননি, তার উপর চোটের হাল কী ছিল, তা নিয়েও বোর্ডকে পরিষ্কার জানাননি। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল বোর্ড। হার্দিকের চোট কেমন, তা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছিল। আর তারপরই ভারতীয় টিম থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টিমে থাকবেন কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। ঈশান অবশ্য আমিরশাহির প্রাথমিক ম্যাচগুলো রান না পেলেও পরের দিকে পেয়েছিলেন।
মুম্বইয়ের রিলিজ করে দেওয়া প্লেয়ারদের মধ্যে রয়েছেন হার্দিক, ক্রুণাল পান্ডিয়া, ঈশান, ট্রেন্ট বোল্ট, কুইন্টন ডি’কক। চারজন প্লেয়ার রাখার পর ৪৮ কোটি টাকা রয়েছে মুম্বইয়ের পার্সে। যা দিয়ে আগামী আইপিএলের টিম করতে হবে।
রোহিত অবশ্য বলছেন, ‘একটা দারুণ টিম বাছাই প্রাথমিক লক্ষ্য। নিলামে সেই তাগিদ নিয়ে যাব আমরা। নিলামে কাদের পাওয়া যেতে পারে, তা আমরা দেখে নেব। টিমের কাজে লাগবে, এমন ক্রিকেটারদের নেওয়া হবে। আমাদের স্পটাররা অবশ্য একই সঙ্গে দেশে ও দেশের বাইরে কারা ভালো খেলছে, তাদের দিকেও নজর রেখেছে।’