ঠিক কী হল। কী ভাবে হল। সত্যিই এমনটা হয়েছে তো! ম্যাচ ছিল নাকি পুরনো কোনও ম্যাচের হাইলাইটস! মনে হচ্ছে না, কেমন অসংলগ্ন কথাবার্তা? আসলে বৈভব সূর্যবংশীর (Vaibhav Suryavanshi) ইনিংসটা ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই ফেলেছে অনেককে। সচিন তেন্ডুলকর। মিতালি রাজ। ভাবা যায়! হ্যাঁ… ঠিকই শুনছেন, সচিন তেন্ডুলকর অবধি মুগ্ধ। স্বয়ং ক্রিকেট ঈশ্বর তাঁকে নিয়ে বলছেন। নিশ্চয়ই এমন কিছু করেছেন বৈভব?
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মেগা অকশন মনে পড়ে? একটি বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে নিলামে সাময়িক ঝড় উঠেছিল। বেস প্রাইস ছাপিয়ে দর বাড়তে থাকে। লক্ষ ছাপিয়ে কোটিতে প্রবেশ। অবশেষে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় বৈভব সূর্যবংশীকে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ। প্রাথমিক ভাবে এমনটাই ভাবা হয়েছে। অবশেষে আইপিএল শুরু হল। ১৮তম সংস্করণ। সাবালক হল আইপিএল। তাতে ১৪ বছরের ‘নাবালক’ বৈভব সত্যিই খেলার সুযোগ পাবেন কি না, নিশ্চয়তা ছিল না। অবশ্য সে সময় তাঁর বয়স ১৩ বছর ছিল। গত মাসেই ১৪ হয়েছে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ একটা মঞ্চ। যেখানে কিংবদন্তিরা পারফর্ম করেন। কোনও অচেনা মুখ উঠে আসে। আবার কেউ এক মরসুম নজর কেড়ে হারিয়ে যান। প্রতি মরসুমে কিছু না কিছু চমক থাকেই। এবারের চমক ঠিক কী হতে পারে, সোমবারে রাত অবধি নিশ্চিত ছিল না। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা পারফর্ম করছেন। এমনটা ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে পরিচিত মুহূর্ত। এমন একটা কিছুর প্রয়োজন ছিল, যা একেবারে সব কিছু থেকে আলাদা। কিন্তু সেটা ঠিক কী হবে! এই প্রশ্নেরই তো উত্তর খুঁজছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা।
কয়েক দিন আগের ঘটনা। না না, কয়েক দিন নয়। বেশ কয়েক দিন আগের…। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে নেমেছিল বিধ্বস্ত রাজস্থান রয়্যালস। নিয়মিত ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসনের চোট। শুরুর দিকে চোটের কারণে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে খেলেছেন। চতুর্থ ম্যাচ থেকে ফুল ফিট সঞ্জু। কিন্তু দিল্লি ক্য়াপিটালসের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের সময় ফের চোট। অগত্যা পরের ম্যাচ থেকে ডাগআউটে সঞ্জু।
ঋষভ পন্থদের বিরুদ্ধে চমক দেয় রাজস্থান রয়্যালস। ময়দানে নামিয়ে দেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশীকে। আইপিএলের মঞ্চ। শার্দূল ঠাকুরের মতো পেসার। প্রথম ডেলিভারিই গ্যালারিতে পাঠান বৈভব। সেই শুরু। একের পর এক। কিন্তু ৩৬ রানেই ইনিংস শেষ। অল্পেতে খুশি হতে পারেননি। মাঠ ছাড়ার সময় চোখে জল। এরপর বেঙ্গালুরুর মাঠে ম্যাচ। আবারও বিধ্বংসী ব্যাটিং। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমারের মতো অভিজ্ঞ পেসারের একটা ডেলিভারি উইকেট ভেঙে দেয়। সাময়িক সন্দেহ জন্মেছিল কি? হতে পারে।
কাট টু পিঙ্ক সিটি। পয়েন্ট টেবলের নিরিখে খাদের কিনারায় রয়্যালস। ঘরের মাঠের সমর্থকরা প্রবল চিন্তায়। হারলে প্লে-অফ থেকে ছিটকে যাওয়া। বোর্ডে ২১০ রানের বিশাল টার্গেট। আর রাজস্থানের হয়ে ওপেনিংয়ে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে সেই ১৪ বছরের বৈভব। এক তরফা একটা ম্যাচের সম্ভাবনা। কিন্তু সব বদলে গেল এক মুহূর্তে। একের পর এক ডেলিভারি আছড়ে পড়ল গ্যালারিতে। মাত্র ১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি। এ মরসুমের দ্রুততম। সঙ্গে কনিষ্ঠতম ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে হাফসেঞ্চুরি। এখানেই শেষ নয়।
ব্য়াটারদের ক্ষেত্রে একটা কথা বলা হয়ে থাকে। কার্যত ৩০টা ডেলিভারি সামলে দিতে পারলে, ক্রিকেট বলও ফুটবলের মতো দেখায়। বৈভব যেন প্রথম ডেলিভারি থেকেই ফুটবল দেখছিলেন। হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে জুড়তে থাকে আরও ওভার বাউন্ডারি। আর ৩৫ বলে সেঞ্চুরি! আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের। ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তিনি ব্যাটিং করলে বলা হত, গেইল স্টর্ম। পরবর্তীতে নামকরণ হয়, ইউনিভার্স বস।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ইউসুফ পাঠানের। ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তাঁকে ছাপিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন বৈভবের দখলে। সাইমন কাটিচ তাঁর নামকরণ করেছেন, বস বেবি। সচিন তেন্ডুলকর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। ভারত এবং বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক কিংবদন্তিই তাঁকে নিয়ে কিছু না কিছু লিখে চলেছেন। আসলে বৈভব যে ইতিহাস লিখে দিয়েছেন, এমনটা হওয়ারই কথা।
ঠিক কী হল। কী ভাবে হল। সত্যিই এমনটা হয়েছে তো! ম্যাচ ছিল নাকি পুরনো কোনও ম্যাচের হাইলাইটস! মনে হচ্ছে না, কেমন অসংলগ্ন কথাবার্তা? আসলে বৈভব সূর্যবংশীর (Vaibhav Suryavanshi) ইনিংসটা ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই ফেলেছে অনেককে। সচিন তেন্ডুলকর। মিতালি রাজ। ভাবা যায়! হ্যাঁ… ঠিকই শুনছেন, সচিন তেন্ডুলকর অবধি মুগ্ধ। স্বয়ং ক্রিকেট ঈশ্বর তাঁকে নিয়ে বলছেন। নিশ্চয়ই এমন কিছু করেছেন বৈভব?
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মেগা অকশন মনে পড়ে? একটি বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে নিলামে সাময়িক ঝড় উঠেছিল। বেস প্রাইস ছাপিয়ে দর বাড়তে থাকে। লক্ষ ছাপিয়ে কোটিতে প্রবেশ। অবশেষে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় বৈভব সূর্যবংশীকে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ। প্রাথমিক ভাবে এমনটাই ভাবা হয়েছে। অবশেষে আইপিএল শুরু হল। ১৮তম সংস্করণ। সাবালক হল আইপিএল। তাতে ১৪ বছরের ‘নাবালক’ বৈভব সত্যিই খেলার সুযোগ পাবেন কি না, নিশ্চয়তা ছিল না। অবশ্য সে সময় তাঁর বয়স ১৩ বছর ছিল। গত মাসেই ১৪ হয়েছে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ একটা মঞ্চ। যেখানে কিংবদন্তিরা পারফর্ম করেন। কোনও অচেনা মুখ উঠে আসে। আবার কেউ এক মরসুম নজর কেড়ে হারিয়ে যান। প্রতি মরসুমে কিছু না কিছু চমক থাকেই। এবারের চমক ঠিক কী হতে পারে, সোমবারে রাত অবধি নিশ্চিত ছিল না। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা পারফর্ম করছেন। এমনটা ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে পরিচিত মুহূর্ত। এমন একটা কিছুর প্রয়োজন ছিল, যা একেবারে সব কিছু থেকে আলাদা। কিন্তু সেটা ঠিক কী হবে! এই প্রশ্নেরই তো উত্তর খুঁজছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা।
কয়েক দিন আগের ঘটনা। না না, কয়েক দিন নয়। বেশ কয়েক দিন আগের…। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে নেমেছিল বিধ্বস্ত রাজস্থান রয়্যালস। নিয়মিত ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসনের চোট। শুরুর দিকে চোটের কারণে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে খেলেছেন। চতুর্থ ম্যাচ থেকে ফুল ফিট সঞ্জু। কিন্তু দিল্লি ক্য়াপিটালসের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের সময় ফের চোট। অগত্যা পরের ম্যাচ থেকে ডাগআউটে সঞ্জু।
ঋষভ পন্থদের বিরুদ্ধে চমক দেয় রাজস্থান রয়্যালস। ময়দানে নামিয়ে দেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশীকে। আইপিএলের মঞ্চ। শার্দূল ঠাকুরের মতো পেসার। প্রথম ডেলিভারিই গ্যালারিতে পাঠান বৈভব। সেই শুরু। একের পর এক। কিন্তু ৩৬ রানেই ইনিংস শেষ। অল্পেতে খুশি হতে পারেননি। মাঠ ছাড়ার সময় চোখে জল। এরপর বেঙ্গালুরুর মাঠে ম্যাচ। আবারও বিধ্বংসী ব্যাটিং। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমারের মতো অভিজ্ঞ পেসারের একটা ডেলিভারি উইকেট ভেঙে দেয়। সাময়িক সন্দেহ জন্মেছিল কি? হতে পারে।
কাট টু পিঙ্ক সিটি। পয়েন্ট টেবলের নিরিখে খাদের কিনারায় রয়্যালস। ঘরের মাঠের সমর্থকরা প্রবল চিন্তায়। হারলে প্লে-অফ থেকে ছিটকে যাওয়া। বোর্ডে ২১০ রানের বিশাল টার্গেট। আর রাজস্থানের হয়ে ওপেনিংয়ে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে সেই ১৪ বছরের বৈভব। এক তরফা একটা ম্যাচের সম্ভাবনা। কিন্তু সব বদলে গেল এক মুহূর্তে। একের পর এক ডেলিভারি আছড়ে পড়ল গ্যালারিতে। মাত্র ১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি। এ মরসুমের দ্রুততম। সঙ্গে কনিষ্ঠতম ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে হাফসেঞ্চুরি। এখানেই শেষ নয়।
ব্য়াটারদের ক্ষেত্রে একটা কথা বলা হয়ে থাকে। কার্যত ৩০টা ডেলিভারি সামলে দিতে পারলে, ক্রিকেট বলও ফুটবলের মতো দেখায়। বৈভব যেন প্রথম ডেলিভারি থেকেই ফুটবল দেখছিলেন। হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে জুড়তে থাকে আরও ওভার বাউন্ডারি। আর ৩৫ বলে সেঞ্চুরি! আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের। ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তিনি ব্যাটিং করলে বলা হত, গেইল স্টর্ম। পরবর্তীতে নামকরণ হয়, ইউনিভার্স বস।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ইউসুফ পাঠানের। ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তাঁকে ছাপিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন বৈভবের দখলে। সাইমন কাটিচ তাঁর নামকরণ করেছেন, বস বেবি। সচিন তেন্ডুলকর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। ভারত এবং বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক কিংবদন্তিই তাঁকে নিয়ে কিছু না কিছু লিখে চলেছেন। আসলে বৈভব যে ইতিহাস লিখে দিয়েছেন, এমনটা হওয়ারই কথা।