
সঞ্জু স্যামসন রাজস্থান রয়্য়ালস ছাড়তে চাইছেন, এই জল্পনা তুঙ্গে। কথায় আছে যা রটে, তার কিছু তো ঘটে! সঞ্জুর ক্ষেত্রেও কি তাই? ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত মরসুম শেষেই নাকি টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছিলেন, তাঁকে রিলিজ করার কথা। রাজস্থান রয়্যালস এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। সূত্রের খবর, হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত হবে। এখনও অবধি যা জল্পনা আগামী আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস জার্সিতে খেলতে দেখা যেতে পারে সঞ্জু স্যামসনকে। রাজস্থান রয়্যালস ছাড়তে চাওয়ার নেপথ্যে উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য।
গত আইপিএলে রিটেনশনের তালিকা প্রকাশের পরই তাদের সিদ্ধান্ত চমকে দিয়েছিল। জস বাটলারকে ছেড়ে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় পরে জানিয়েছিলেন, এই সিদ্ধান্ত নিতেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছিল। টিমে যশস্বী জয়সওয়ালের মতো ওপেনার রয়েছেন। সঞ্জুও ওপেনার। জস বাটলারকে রাখলে নীচে খেলাতে হত। এই অবধিও ঠিক ছিল। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া মনে করছেন, সঞ্জুর দল ছাড়তে চাওয়ার অন্য়তম কারণ হতে পারে ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশীর উত্থান।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত মরসুমে শুরুতে তিন ম্যাচ স্পেশালিস্ট ব্যাটার হিসেবে খেলেছিলেন সঞ্জু। লিগ পর্বের শেষ দিকে চোটের কারণে খেলতে পারেননি রাজস্থান অধিনায়ক। উত্থান হয় ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশীর। তিনিও ওপেনার। ১৪ বছরে আইপিএল অভিষেকের রেকর্ড। শুধু তাই নয় মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিশেষজ্ঞ আকাশ চোপড়া নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘সঞ্জু কেন দল ছাড়তে চাইবে? ভাবার মতোই বিষয়। গত মরসুমে জস বাটলারকে রিলিজ করে গিয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল, সঞ্জু ওপেন করতে চেয়েছিল। উল্টোদিকে যশস্বী নিজের জায়গা তৈরি করে ফেলেছিলেন। তখন মনে হয়েছিল, টিম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সঞ্জুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এখন মনে হচ্ছে, পরিস্থিতি মোটেও তেমন ছিল না। বৈভব সূর্যবংশী উঠে এসেছে। যশস্বী রয়েছে। ফলে দুই ওপেনার প্রস্তুত।’
আকাশ আরও যোগ করেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছে ধ্রুব জুরেলকে আরও একটু ওপরে নামাতে। হয়তো সব ভাবনা মিলিয়েই টিম ছাড়তে চাইছে সঞ্জু। সবটাই অনুমান। আমি জানি না সঞ্জুর মস্তিষ্কে কী চলছে বা রাজস্থান রয়্যালসও কী চাইছে।’