
ভারতীয় ক্রিকেট, ফিটনেস নিয়ে কথা উঠলেই একজনের প্রসঙ্গে বলতেই হয়। বিরাট কোহলি। কেরিয়ারের শুরুর দিকের বিরাট কোহলি আর পরবর্তীতে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররা ফিটনেসের দিক থেকেও তাঁকে আদর্শ মানেন। এমনকি বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারই। ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর মতো ফিটনেস যদি বলতে হয় বর্তমান টিমে রবীন্দ্র জাডেজার মধ্যে রয়েছে। সেই অনূর্ধ্ব ১৯ স্তর থেকে বিরাট-জাডেজা একসঙ্গে খেলছেন। বিরাট কোহলি টেস্ট এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে এখনও বর্তমান। সেই বিরাট কোহলির পরামর্শেই বদলে গিয়েছেন এক তরুণ ক্রিকেটার!
গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় সরফরাজ খান। একটা সময় ঘরোয়া ক্রিকেটে ঝুরি ঝুরি রান করেও ব্রাত্য় থাকছিলেন। অবশেষে টেস্ট টিমে জায়গা পেয়েছিলেন। দেশের জার্সিতে বেশ কয়েকটি স্মরণীয় ইনিংসও খেলেছেন। কিন্তু ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই ফের পতনের দিকে। খারাপ ফর্মের কারণে একাদশে জায়গা হারান। অস্ট্রেলিয়া সফরের স্কোয়াডে থাকলেও খেলার সুযোগ পাননি। বিরাট-রোহিত টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ায় মনে করা হয়েছিল এ বার নিয়মিত জায়গা পাবেন। উল্টে ইংল্যান্ড সফরের স্কোয়াডেই জায়গা মেলেনি। সরফরাজ অবশ্য থেমে থাকেননি। নজর দিয়েছেন ফিটনেসে। মাত্র ২ মাসেই ১৭ কেজি ওজন কমিয়েছেন। অথচ একটা সময় সতীর্থরা নাকি তাঁকে ডাকতেন পাণ্ডা বলে!
শুধু যে পারফরম্যান্স, তাই নয়। সরফরাজ খানের ভারী চেহারাও তাঁকে স্কোয়াডে না রাখার অন্যতম কারণ। বর্তমান ক্রিকেটে যা গুরুত্ব অনেক বেশি। সরফরাজ নিজেও সেটা বুঝতে পেরেছেন। যে কারণে এমন বদল। ভারী চেহারার কারণেই একটা সময় তাঁকে পাণ্ডা বলে ডাকা হত, সে কথা নিজেই জানিয়েছেন সরফরাজ। বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। বিরাট তাঁকে ফিটনেসে কী ভাবে সাহায্য করেছেন?
একটা সময় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে বিরাট কোহলির সঙ্গে খেলেছেন সরফরাজ খান। ২০১৯-২০ রঞ্জি মরসুমের সময় সরফরাজ বলেছিলেন, ‘ফিটনেস নিয়ে আমিও খুশি ছিলাম না। পরে যখন ফিটনেস ঠিক করলাম, ব্যাটিংয়েও ভালো পারফর্ম করতে পারছিলাম। একটা সময় সতীর্থরা চেহারার জন্য পাণ্ডা বলে ডাকত। তাঁরাই মাচো বলে। সত্যি বলতে, খুব জনই জানে, এটাই আমার নতুন ডাকনাম। ২০১৬ সালে আরসিবি থেকে ফিটনেসের কারণে বাদ পড়েছিলাম। বিরাট কোহলি আমাকে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছিল যে, আমার দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই, কিন্তু ফিটনেসের জন্যই এগোতে পারছি না। ও আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়েছিল।’