International Cricket: তামিমই একা নন, অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন আফ্রিদি-পিটারসেনরাও
তামিম প্রথম ক্রিকেটার নন, যিনি অবসর ঘোষণার পর ফের অবসর ভেঙে ২২ গজে ফিরেছেন। TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এমন ১১ ক্রিকেটারকে, যাঁরা অতীতে অবসর নিয়ে ফের ২২ গজে ফিরেছিলেন।

নয়াদিল্লি: কোনও ক্রীড়াবিদই আজীবন খেলাধূলা চালিয়ে যেতে পারেন না। এক দিন না এক দিন তাঁদের অবসর নিতেই হয়। আবার কোনও কোনও ক্রীড়াবিদ থাকেন যাঁরা অভিমান করে অবসর ঘোষণা করেন। সম্প্রতি অভিমান করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (International Cricket) অবসর ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal)। যদিও অবসর নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি অবসর ভাঙার কথাও জানিয়ে দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগেই অভিমান ভাঙে তামিমের। যদিও তামিম প্রথম ক্রিকেটার নন, যিনি অবসর ঘোষণার পর ফের অবসর ভেঙে ২২ গজে ফিরেছেন। TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এমন ১১ জন ক্রিকেটারকে, যাঁরা অতীতে অবসর নিয়ে ফের ২২ গজে ফিরেছিলেন।
- বব সিম্পসন – ৬২টি টেস্টে খেলে অবসর নিয়েছিলেন অজি ক্রিকেটার বব সিম্পসন। তবে ১৯৭৭ সালের ভারত সফরের জন্য ক্রিকেটারই খুঁজে পাচ্ছিল না অস্ট্রেলিয়া। সেই সময় ক্যারি প্যাকারের ওয়ার্ল্ড সিরিজের দাপট ছিল দেখার মতো। অবসরের প্রায় এক দশক পর ৪১ বছর বয়সে ফের ক্রিকেটে ফেরেন বব সিম্পসন।
- তামিম ইকবাল – কয়েকদিন আগে সাংবাদিক বৈঠক করে চোখের জলে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ওডিআই বিশ্বকাপের ঠিক তিন মাস আগে তাঁর এই সিদ্ধান্ত সকলকে অবাক করেছিল। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন তামিম।
- জাভেদ মিয়াঁদাদ – ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর অবসর নিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। ওই সময় পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, ‘নো মিয়াঁদাদ, নো ক্রিকেট।’ পাক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর অনুরোধে সেই সময় সিদ্ধান্ত বদল করেন মিয়াঁদাদ।
- কেভিন পিটারসেন – ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক চার মাস আগে অবসর নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেন। যদিও বিশ্বকাপের ২ মাস আগে পিটারসেন জানান, তিনি কখনওই বলেননি যে আর ক্রিকেটে ফিরবেন না। এর পর তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে আরও ৮টি ওয়ান ডে ম্যাচে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলেছিলেন।
- কার্ল হুপার – মাত্র ৩২ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা কার্ল হুপার। এরপর ২০০১ সালে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হিসেবে আবার ফেরেন হুপার। পরে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও খেলেন তিনি। এবং ২০০৩ সালে অবসর নেন তিনি।
- ভানুকা রাজাপক্ষে – ২০২২ সালে পারিবারিক কারণে অবসর নেন শ্রীলঙ্কান তারকা ভানুকা রাজাপক্ষে। যদিও শ্রীলঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী তাঁর সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। এরপর বৈঠক হয়। তার পর জাতীয় দলের হয়ে ফের খেলার সিদ্ধান্ত নেন ভানুকা।
- ইমরান খান – ১৯৮৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারার পর অবসর নিয়েছিলেন পাকিস্তানের তারকা ইমরান খান। তবে সেই সময় পাক প্রেসিডেন্ট জিয়া উল হকের অনুরোধে পাকিস্তানের হয়ে ফের ২২ গজে ফেরেন ইমরান। তারপর ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপও জেতেন।
- মইন আলি – ২০২১ সালে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের মইন আলি। তবে চলতি অ্যাসেজ সিরিজের আগে জ্যাক লিচ চোটের কারণে ছিটকে যান। তাই জাতীয় দলে মইনের প্রত্যাবর্তন হয়।
- শাহিদ আফ্রিদি – মোট ৫ বার অবসর নিয়েছেন পাক তারকা শাহিদ আফ্রিদি। ২০০৬, ২০১০, ২০১১, ২০১৪ ও ২০১৭ – পাঁচবার অবসর নিয়েও ২২ গজে ফিরেছেন পাক তারকা।
- জাভাগাল শ্রীনাথ – ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের পর অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের জাভাগাল শ্রীনাথ। সেই সময় ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুরোধে মত পরিবর্তন করেন তিনি। আরও তিনটি টেস্টে খেলেন তিনি।
- জেরোম টেলর – সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মনোনিবেশ করার জন্য ৪৬ টেস্ট খেলে অবসর ঘোষণা করেন ক্যারিবিয়ান তারকা জেরোম টেলর। যদিও তিনি তার পরের ১৪ মাস সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ডাক পাননি। ফলে অবসর প্রত্যাহার করে নেন টেলর। যদিও তাঁর আর টেস্ট খেলা হয়নি।
