
জোড়া ক্যাচ মিস, একটি স্টাম্পিং। ফিল্ডিংয়েও বেশ কিছু অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। যার ভরপুর সুযোগ তুলল বাংলাদেশ। জাকের আলি এবং তৌহিদ হৃদয় দু-জনেই জীবন পেয়েছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন জাকের ও তৌহিদ। ক্যাচ ও ফিল্ডিংয়ে রাশ আলগা না হলে বাংলাদেশকে হয়তো আরও আগেই অলআউট করা যেত। এমনকি সেঞ্চুরির সামনে এসেও রান আউট থেকে বাঁচেন হৃদয়। ক্র্যাম্পের জন্য দু-বার খেলাও থামাতে হয়। শেষ অবধি ২২৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ। জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অভিযান শুরু করতে ভারতের চাই ২২৯ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্য়াপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতেই পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে প্রবল চাপে ফেলেন ভারতীয় বোলাররা। নতুন বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মহম্মদ সামি ও হর্ষিত রানার। প্রথম পরিবর্ত হিসেবে আক্রমণে এসেই জোড়া উইকেট ওভার অক্ষর প্য়াটেলের। মাত্র ৩৫ রানেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট ফেলে দেয় ভারত। এরপর অবশ্য রাশ কিছুটা আলগা হয়।
জাকের আলি অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও তৌহিদ হৃদয় ওডিআই কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করলেন। তাও আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় মঞ্চে। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হন তৌহিদ হৃদয়ই। ১০০ রানেই ফেরেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে মহম্মদ সামি ফাইফার, হর্ষিত রানা তিন ও অক্ষর প্যাটেল ২ উইকেট নেন। ম্যাচ এ বার ভারতীয় ব্য়াটারদের হাতে। বাংলাদেশ বধে শুরুটা ভালো হওয়া প্রয়োজন। পিচে টার্ন রয়েছে। এ বিষয়ে একটু হলেও সতর্ক থাকতে হবে ভারতকে।