Shikhar Dhawan: বাঙালি বউয়ের বাউন্সারে কুপোকাত! ‘অভিজ্ঞ’ শিখরের কথায় দ্বিতীয় বিয়ের ইঙ্গিত
পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০১২ সালে ধুমধাম করে শিখর ধাওয়ান ও আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের বিয়ে হয়েছিল।
নয়াদিল্লি: বাইশ গজের জীবন হোক বা ব্যক্তিগত জীবন দু’টোই যেন ক্রমশ জটিল হচ্ছে ভারতের এক তারকা ক্রিকেটারের। খারাপ ফর্মের জন্য দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের বাইরে তিনি। ব্যক্তিগত জীবনেও যেন উথালপাতাল হয়েছে তাঁর। সবকিছুর মধ্যেই তিনি এগিয়ে চলেছেন। এক সময় দুই বাচ্চার মায়ের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে তাঁকে বিয়ে করেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার সিনিয়র তারকা ক্রিকেটার। এখন তাঁদের ডিভোর্সের মামলা চলছে। এই ক্রিকেটার হলেন শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। বর্তমানে তিনি আসন্ন আইপিএলের (IPL) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পঞ্জাব কিংসের শিবিরে চলছে তাঁর অনুশীলন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শিখর তাঁর সঙ্গে স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের (Ayesha Mukherjee) বিচ্ছেদের ব্যাপারে নীরবতা ভাঙলেন। তাঁদের বিচ্ছেদের জন্য শিখর কাঠগড়ায় তুললেন কাকে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
শিখর ও আয়েশার প্রেমকাহিনির সূত্রপাত হয়েছিল ফেসবুক থেকে। আসলে ধাওয়ানের প্রাক্তন সতীর্থ হরভজন সিংয়ের ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’ ছিলেন আয়েশা। শিখর এরপর তাঁকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলেন। তা অ্যাকসেপ্টও করেছিলেন আয়েশা। ধীরে ধীরে দু’জনের মধ্যে পরিচিতি বাড়তে থাকে। সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। সেই সময় আয়েশা যদিও বিবাহিত ছিলেন। সব জেনে শুনেও দুই সন্তানের মা আয়েশাকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন শিখর। পরবর্তীতে ২০১২ সালে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ধুমধাম করে নিয়ে করেছিলেন শিখর ও আয়েশা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আয়েশার ছেলেবেলা থেকে বড় হওয়াটা কাটে অস্ট্রেলিয়ায়। ধাওয়ানের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি ভারতে থাকা শুরু করেন। ২০১৪ সালে শিখর ও আয়েশার ছেলে জোরাবরের জন্ম হয়। আট বছর একসঙ্গে ঘর করার পর শিখর ও আয়েশা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। এখনও তাঁদের ডিভোর্সের মামলা চলছে।
আয়েশার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়া নিয়ে এ বার মুখ খুলেছেন শিখর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শিখর জানিয়েছেন, তিনি অন্যদের দিকে আঙুল তুলতে পছন্দ করেন না। বিয়ের ক্ষেত্রে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন কারণ, এই বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যর্থ হয়েছি কারণ যে কোনও ব্যক্তি যখন সিদ্ধান্ত নেয়, তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা তারই হয়। আমি অন্যের দিকে আঙুল তোলা পছন্দ করি না। আমি এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছিলাম কারণ বিয়ে নিয়ে আমার কোনও ধারণা ছিল না। আজ আমি ক্রিকেট নিয়ে যা কিছু বলছি আপনি যদি আমাকে ২০ বছর আগে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতেন, হয়তো এই বিষয়গুলো আমি বলতে পারতাম না। এগুলো আসলে অভিজ্ঞতার বিষয়। প্রথমে একজন মানুষের সঙ্গে এক বা দুই বছর কাটান, দেখুন উভয়ের সংস্কার মেলে কিনা।’
শিখর আরও বলেন, ‘ওটাও একটা ম্যাচ ছিল। বর্তমানে আমার ডিভোর্সের মামলা চলছে। এটা শেষ হয়ে গেলে আমি যদি আবার বিয়ে করি, সেই সময় আমি এই ফিল্ড থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঠিক করতে পারব আমার কেমন পার্টনার প্রয়োজন। আমি যখন ২৬-২৭ বছর বয়সে খেলতাম তখন আমি কোনও সম্পর্কে ছিলাম না। আমি প্রেমে পড়েছিলাম যখন লাল পতাকাটা দেখতে পাইনি। এখন প্রেমে পড়লে আশা করি লাল পতাকা দেখতে পাব। আর সেটা হলে সেই সম্পর্ক থেকেও বেরিয়ে আসব।’
একইসঙ্গে শিখর জানান, বিয়ে তাঁর কাছে বাউন্সারের মতো ধাক্কা দিয়েছে। তাঁর মতে, তিনি বিয়ে করে ভুল করেছিলেন। আর মানুষ তো ভুল থেকেই শেষে। তাই তিনিও নিজের করা ভুল থেকে শিখতে চান।