
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা! নাকি হেরোপ্রতিদ্বন্দ্বিতা? সুপার ফোরের ম্যাচে পাক-বধ করেই সূর্যকুমার যাদব পাকিস্তানের এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বলেছিলেন, এই ম্যাচকে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা না বলাই শ্রেয়। কারণ, এর একপেশে ফলাফল। পাকিস্তানকে হারানোটা যেন অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছে ভারতীয় দল। সে কারণেই এই ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা থাকলেও রেজাল্ট যেন আগে থেকেই জানা তবে। ফাইনালে অবশ্য কিছুক্ষণের জন্য মনে হয়েছিল ম্যাচ কঠিন হতে পারে। ভারতের দুর্দান্ত বোলিং এবং মিডল অর্ডারের দুরন্ত পারফরম্যান্সে ৫ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় ভারতের। এশিয়া কাপে হারের হ্যাটট্রিকের কোচ-ক্যাপ্টেনকে বিঁধলেন পাকিস্তান প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতার।
ফাইনালে ওপেনিং জুটিতে ৮৪। দলীয় ১১৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর হারাকিরি। এখান থেকে মাত্র ১৪৬ রানেই অলআউট পাকিস্তান। বোলারদের সৌজন্যে কিছুটা লড়াই করেছিল পাকিস্তান। পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেট তুলেছিল। প্রথম দু-ম্যাচে এই লড়াইটুকুও দেখা যায়নি। একটা সময় তবু সামান্য লড়াইটুকু দেখা যেত। ভারতের কাছে হারের হ্যাটট্রিক নিয়ে কোচ মাইক হেসন এবং ক্যাপ্টেন সলমন আলি আঘাকে নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতার।
হারের হ্যাটট্রিক নিয়ে শোয়েব বলেন, ‘পুরোপুরি ম্যানেজমেন্টের দোষ। নির্বোধ কোচিং, হয়তো আমার শব্দচয়ন নিয়ে খারাপ লাগতে পারে কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি।’ শুধুমাত্র কোচ মাইক হেসন নন, ক্যাপ্টেন সলমন আলি আঘাকেও বিঁধলেন। শোয়েব আখতার বলেন, ‘ওর নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে বোলিং পরিবর্তন। যখন দেখল প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা স্পিনের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়ছে, পেসার হ্যারিস রউফকে আক্রমণে আনার প্রয়োজন ছিল না। ওর ওভারে ১৭ রান ওঠে। হারের নানা কারণ রয়েছে। তবে কী আর করা যাবে।’