
কলকাতা: প্রোটিয়ারা যে লড়তে জানে, তা আবারও একবার প্রমাণিত হল। রাঁচিতে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআইতে অল্পের জন্য হেরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচেও দারুণ লড়েছিলেন ম্যাথু ব্রিটজকে ও টনি ডি জর্জিরা। বুধবার রায়পুরে ফের দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের লড়াকু মেজাজে দেখা গেল। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির সুবাদে ভর করে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৫৯ রানের টার্গেট দিয়েছিল। শেষ ওভার অবধি লড়াই করে ম্যাচ জিতে সিরিজের স্কোরলাইন ১-১ দাঁড় করাল বাভুমা-ব্রিগেড।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং জুটিকে জমতে দেয়নি ভারত। কিন্তু তারপর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ জুটি একেবারে হিমশিম খাইয়ে দিল ভারতীয় বোলারদের। দ্বিতীয় উইকেটে তেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করাম জুটিতে তোলে ১০১ রান। এরপর ম্যাথু ব্রিটজকের সঙ্গে মার্করাম ৭০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। পঞ্চম ওভারে ডি’কককে (অর্শদীপ নেন উইকেট, ৮ করেন ডি’কক) ফেরানোর পর সেই গিয়ে ২১তম ওভারে উইকেট পায় ভারত। ক্যাপ্টেন বাভুমাকে ফেরান প্রসিধ। ৪৬ রান করেন তিনি। এরপর সেঞ্চুরি পূর্ণ করে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান এইডেন মার্করাম। ৩০তম ওভারের শেষ বলে হর্ষিত রানা ফেরান ১১০ রান করা মার্করামকে। ৯৮ বলে এই ইনিংস সাজানোর পথে তিনি মারেন ১০টি চার ও ৪টি ছয়।
মার্করাম যখন আউট হন সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৩ উইকেটে ১৯৭। তখনও যদি ম্যাচের রাশ নিতে পারত ভারত, তা হলে বেশি চাপ হত না। কিন্তু হল উল্টোটাই। প্রচুর রান খরচ করতে শুরু করলেন প্রসিধ কৃষ্ণা, হর্ষিত রানা, কুলদীপ যাদবরা। এরপর ডিওয়াল্ড ব্রেভিস ও ম্যাথু ব্রিটজকে চতুর্থ উইকেটে তোলেন ৯২ রান। দেখতে দেখতে ৫৪ হাফসেঞ্চুরি করেন ব্রেভিজ ও ব্রিটজকে। ৫৪ রানে আউট হন ব্রেভিস। আর ব্রিটজকে করেন ৬৮ রান। এরপর ওভার যত কমতে থাকে রানের ব্যবধানও প্রোটিয়ারা কমাতে থাকেন। একদিকে পরপর উইকেট হারানোর মাঝে টনি ডি জর্জি ১৭ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে তিনি মাঠ ছাড়েন। এরপর করবিন বশ আর কেশব মহারাজের ওপর গিয়ে দাঁড়ায় ম্যাচ বের করার দায়িত্ব।
শেষ ২ ওভারে জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তুলতে হত ৮ রান। ৪৯তম ওভারে ৫ রান দেন অর্শদীপ। শেষ ওভারে প্রসিধের প্রথম ডেলিভারিতেই ২ রান নেন বশ। এরপর ৪৯.২ ওভারেই ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল প্রোটিয়ারা। বিদেশের মাটিতে এত রান তাড়া করে রেকর্ড জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ৪ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে জয় বাভুমাদের। ২৯ রানে অপরাজিক বশ। আর মহারাজ নট আউট ১০। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ওডিআইতে মোট রানের দিক থেকে এটাই সর্বাধিক (৭১২ রান)।