Muttiah Muralitharan: ‘কোনও ক্রিকেটার ওর ধারে কাছে নেই’, কার কথা বললেন মুরলীধরন?
দিন কয়েক আগে সচিন তেন্ডুলকরের হাত ধরে লঞ্চ পেয়েছেন মুরলীধরনের বায়োপিকের (৮০০) ট্রেলার। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরলী নিজের ক্রিকেট খেলা এবং তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া একাধিক বিষয় তুলে ধরেছেন। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুরলী। তিনি তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে ২০ বছর ধরে মোট ৭ জন অধিনায়কের বিরুদ্ধে খেলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেটের মালিক তিনি।
নয়াদিল্লি: ‘আমরা বরাবর চেষ্টা করতাম, ওর উইকেটটা আগে তোলার।’ এই কথাগুলো বলতে বলতে কেমন যেন অতীতে ফিরে গেলেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলীধরন (Muttiah Muralitharan)। তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষকে নিয়ে স্মৃতির পাতায় ডুব মুরলীর। তাঁকে বলা হয় ক্রিকেটের ঈশ্বর। তিনি আজও সকল উঠতি ক্রিকেটারদের কাছে অনুপ্রেরণা। একাধিক প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের ত্রাস ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। সম্প্রতি মুরলীধরন বলেন যে কোনও ক্রিকেটার সচিনের ধারে কাছে নেই। দিন কয়েক আগে সচিন তেন্ডুলকরের হাত ধরে লঞ্চ পেয়েছেন মুরলীধরনের বায়োপিকের (৮০০) ট্রেলার। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরলী নিজের ক্রিকেট খেলা এবং তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া একাধিক বিষয় তুলে ধরেছেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
কেরিয়ারের প্রথম দিন থেকেই উজ্জ্বল সচিন: মুথাইয়া মুরলীধরন
২২ গজে সচিনের সঙ্গে লড়াই বেশ উপভোগ করতেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলীধরন। তিনি জানান, সচিন ক্রিজে থাকলে বরাবর ভাবতেন কত তাড়াতাড়ি তাঁকে আউট করা যায়। মুরলীর কথায়, ‘কোনও ক্রিকেটার সচিনের মতো হতে পারে না। কারণ, ১৪ বছর বয়সে ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট সেঞ্চুরি করেছিল। ১৬ বছর বয়সে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা শুরু করে। সেখানেও সেঞ্চুরি করে।’
সচিনকে আউট করার জন্য বিভিন্ন ম্যাচের শুরু থেকেই পরিকল্পনা কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেন, বলে জানিয়েছেন মুরলী। বলেন, ‘আমি আমার দক্ষতা জানি। আমি এটাও জানতাম যে সচিন কী করার চেষ্টা করবে। এটা অনেকটা ভাবার উপর নির্ভক করে। দাবার মতো। একাধিক বোলার প্রার্থনা করত যেন তাঁরা সচিনকে তাড়াতাড়ি আউট করে দিতে পারে।’
প্রতিপক্ষ সচিন যখন মুরলীর বন্ধু
শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তির কথায়, ‘আমরা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু। ও মাটির মানুষ। ওর কাছ থেকে কোটি কোটি মানুষের বিরাট প্রত্যাশা ছিল। আমি এমন চরিত্রের মানুষ কমই দেখেছি। আমি ওর সহকর্মী তা ঠিক, কিন্তু আমি ওর এক বড় ভক্তও। আমি কেরিয়ার শুরু করার পর প্রথম ছয়-সাত বছর লড়াই করেছি। কিন্তু সচিন প্রথম দিন থেকে জিনিয়াস ছিল।’
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুরলী। তিনি তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে ২০ বছর ধরে মোট ৭ জন অধিনায়কের বিরুদ্ধে খেলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেটের মালিক তিনি।