Indian Cricket: বিবাহিত মহিলার সঙ্গে প্রেম, সৎ মেয়েকে কাছে পেতে মরিয়া লড়াই, ভারতের এই ক্রিকেটারকে চেনেন?
Cricket Retro Story: অনেক ভালোবাসাই অনেকের কাছে ভুল। কারও কাছে ঠিক। যাঁর যাঁর দৃষ্টিকোণ থেকে সবই হয়তো ঠিক কিংবা ভুল। ভারতীয় ক্রিকেটারদের এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের প্রেমকাহিনি নানা সময়েই আলোচনায় উঠে আসে।

ভালোবাসার জন্য অনেক সময়ই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ভালোবাসা হিসেব করেও হয় না। ফলে অনেক ভালোবাসাই অনেকের কাছে ভুল। কারও কাছে ঠিক। যাঁর যাঁর দৃষ্টিকোণ থেকে সবই হয়তো ঠিক কিংবা ভুল। ভারতীয় ক্রিকেটারদের এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের প্রেমকাহিনি নানা সময়েই আলোচনায় উঠে আসে। এরও নানা কারণ রয়েছে। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার, ক্যাপ্টেন তথা কোচ অনিল কুম্বলের প্রেমকাহিনিও অনেকের কাছে আলোচনার বিষয়।
টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের সর্বাধিক উইকেট শিকারি অনিল কুম্বলে। রয়েছে সেঞ্চুরিও। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরবর্তীতে ভারতীয় দলের কোচ হয়েছিলেন। কোচ হিসেবেও দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন। ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের প্রেমকাহিনি কোনও চিত্রনাট্যের চেয়ে কম নয়। অনিল কুম্বলে ভালোবেসেছিলেন এক বিবাহিত নারীকে। তাঁর নাম চেতনা রামতীর্থ। অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড দুর্দান্ত। প্রথম দেখায় প্রেম বলতে যা বোঝায়, অনিল কুম্বলের সঙ্গেও তেমনই ঘটেছিল।
চেতনার সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় অনিল কুম্বলের। তাঁর ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে পড়েন অনিল কুম্বলে। প্রথমে বন্ধুত্ব। কিন্তু মনে মনে ভালোবাসা সেই প্রথম দেখা থেকেই। চেতনা বিবাহিত ছিলেন। তাঁর একটি কন্যাসন্তানও ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই অনিল কুম্বলের ক্ষেত্রে বিষয়টা খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্তু ভালোবাসার জন্য সব কিছুই করা যায়। বিবাহিত জীবনে সুখী ছিলেন না চেতনাও। সে কথা ভাগ করে নেন ‘বন্ধু’ অনিল কুম্বলের সঙ্গে। এরপরই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন।
এখানেও একটা সমস্যা ছিল। চেতনার প্রাক্তন স্বামী কন্যাসন্তানকে নিজের কাছেই রাখতে চেয়েছিলেন। চেতনা চেয়েছিলেন সন্তান থাকবে তাঁর কাছেই। লড়াই করতে হয়। প্রত্যেকটা মুহূর্তে চেতনার সঙ্গ দেন অনিল কুম্বলে। একটা খারাপ সম্পর্ক থেকে বেরনোর পর দ্বিতীয় বার বিয়ের সিদ্ধান্ত চেতনার জন্যও সহজ ছিল না। অনিল কুম্বলের উপর ভরসা রেখেছিলেন। তাঁকে বিশ্বাস করেছিলেন। আর সে কারণেই অনিল তাঁকে প্রোপোজ করতেই হ্য়াঁ বলেন চেতনা। ১৯৯৯ সালে তাঁদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পরও সমস্যায় পড়েন। মেয়েকে কাছে রাখতে কোর্ট অবধি যেতে হয়। আইনি লড়াইয়ে জিতে মেয়েকে কাছে পান চেতনা ও অনিল। ব্যক্তি অনিল কুম্বলের ভাবমূর্তিও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। অবশেষে কোর্ট চেতনার কন্যা আরুনিকে তাঁদের কাছেই রাখার অনুমতি দেয়। সবটাই যেন সিনেমার মতোই।





