কলকাতা: গত কয়েক বছর বারবার প্রশ্ন উঠেছে তাঁকে নিয়ে। অ্যাকশন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ওপেন করতে নেমেছেন ঠিকই, কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অকারণে দিয়ে এসেছেন উইকেট। সেই তিনিই এ বারের আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে। যেন মাঠে নামছেন বিপক্ষকে ফালাফালা করবেন বলে। চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন। অবলীলায় করছেন হাফসেঞ্চুরি। তাতেও থেমেছেন, বলা যাবে না। তাঁর রানের খাতায় এ বার ঢুকে পড়েছে সেঞ্চুরিও। কেরিয়ারে প্রথম। কেকেআর যদি চ্যাম্পিয়ন হয়, তা হলে তাঁর অবদান নিয়ে কথা উঠবেই। এমন আগুনে ফর্মে যিনি, তাঁকে তো দেশ চাইবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলাতে। আবার সেই টুর্নামেন্ট যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে, তখন তো প্রশ্নই থাকবে না। কিন্তু সেই সুনীল নারিন কিনা ‘না’ বলে দিলেন। কেন?
দু’বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ক্রিস গেইল থেকে শুরু করে একঝাঁক তারকা অবসরের পর থেকে ক্যারিবিয়ান টিমের দাপট কমেছে কুড়ি-বিশের ফর্ম্যাটে। এ বার আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ মিলিয়ে বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার। আর তাই সেরা টিম সাজাতে চাইছেন নির্বাচকরা। আইপিএলে পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা যে অগ্রাধিকার পাবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী! সুনীল নারিন সেই তালিকায় থাকবেন না, হয় নাকি! কিন্তু তিনি নিজেই বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, তিনি বিশ্বকাপ খেলতে চান না।
ক’দিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাপ্টেন রোভম্যান পাওয়েল বলেছিলেন, নারিন যে ফর্মে আছেন, তাঁকে বিশ্বকাপের টিমে পেলে দল ভালো খেলবে। ঘটনা হল, গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন নারিন। যতই আইপিএলে ভালো খেলুন না কেন, কোনও ভাবেই অবসর ভেঙে বিশ্বকাপ খেলার কথা ভাবছেন না।
নারিন বলেছেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে এটা ভেবে যে, আইপিএলে আমার পারফরম্যান্স অনেককেই ছুঁয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ প্রকাশ্যেই বলেছেন, আমি অবসর ভেঙে ফিরে দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা যেন খেলি। আমি ঠান্ডা মাথায় অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেটা ভাঙার কোনও ইচ্ছেই আমার নেই। দরজা এখন বন্ধ করে ফেলেছি। জুনে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমের যে প্লেয়াররা খেলবে, তাদের সমর্থন জানাব। যারা গত কয়েক মাস ধরে কঠিন পরিশ্রম করছে, তারা বিশ্বকাপ খেলার উপযুক্ত। তাদের আগাম শুভেচ্ছা রইল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন আর একটা বিশ্বকাপ জেতে।’